ঘ)
-তুমি রাজনীতি পছন্দ করো?
করি-
-কোন দল তোমার
আমি কোন দলের রাজনীতি করিনা
-তবে…..
আমি ভালর প্রতি কৃতজ্ঞ মন্দের প্রতি রুষ্ঠ।
-এটাই তোমার রাজনীতি? ভাল
হ্যা, এটাকে আমার রাজনীতি ধরে নিয়েছি।
-হরতাল কর নাকি মাঝে মাঝে?
করি, রানা প্লাজা ধ্বংস হলে আর তার মালিক কে খুঁজে পাওয়া নাগেলে,
পাইপের ভেতর জিহাদ বাঁচার আকুতি করলে
আর তাকে নিয়ে রাজনীতির চাল চাললে।নিরাপরাধ বিশ্বজিতের খুনিদের
ফাসির রায় হয়ে তা কার্যকর না হলে....
-অদ্ভুত!!
ভুতের ভয় কর নাকি?
-না। ভুতের মত রাজনীতিকে ভয়। তোমার আসতে কি দেরি হবে?
ক’টা বাজে
-ক’টা আর ছ’টা। কেন, ঘড়ি ধরে চল নাকি। রাজনীতিকরা তো
ঘড়ি ধরে চলতেই পারেনা।


ঙ)
সেক্ষেত্রে স্কুল টিচাররাই ভাল। কি বল
-হ্যা, তাই তো। তোমার টিচার হওয়াটাই উচিত ছিল, তুমি তো ভাল
কথা বলতে পার।
কেন বেশি কথা বলছি নাকি।
-ছেলেরা কথা বল্লে মেয়েরা সাধারণত মৌন থাকে।ছেলেদের কথা নাকি শুনতে ভাল লাগে, তোমাকে দেখছি তার উল্টো।
কথা বল্লেই তার চটপট উত্তর দিয়ে দিচ্ছ।তোমার ভয় করে না?
ভয়! হা, হা, ভয় ঐ স্কুল টিচারদেরই, বেতন আটকে যাবার, আমার তো এসবের
বালাই নেই।
-পুরুষ মানুষকে তোমার ভয় করে না?
পুরুষ আবার মানুষ হয় নাকি, পুরুষ তো পুরুষই।বনে বাঘ বাস করে, বাঘিনী ও।


চ)
-তোমার সাথে কথা বলে মজা পাচ্ছি
কথা বলে এত মজা! ধরলে আরো বেশি মজা পেতে
-মানে!!
মানে পুরুষ, পুরুষদের যেটা হয় আরকি
-কি হয় পুরুষদের? কি হয়? তুমি কি অপমান করতে চাচ্ছ নাকি?
অপমানিত হচ্ছ বুঝি, খুব লাগছে? তখন তো লাগে না যখন ভিড়ের মাঝে
পৌরুষিক হাত গুলো এগিয়ে যায় নারী শরীর ধরতে, তখন তো অপমানিত হয় না কোন  পুরুষ, ধর্ষিতা হয়ে কোন নারী গলায় দড়ি দিলে!!
-চুপ করো।আমার মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
হয়ত তুমি অন্য পুরুষ বলে-কিন্তু এটাই বাস্তব, এটাই সত্য
আজ যদি আমি তোমার কাছে আসি তুমিও হয়ত-
লাইলাক ফুলের পরশ দিবে আমায়, ক্যালেন্ডুলার পাপড়ি ছিড়ে ঠোঁটে চেপে ধরবে
অথবা রজনীগন্ধার গন্ধ শুকে নেবে বা ক্যামেলিয়ার নির্জাস জিভে মাখবে
তোমাদের পৌরুষিক সমাজ তো!!