বিস্তৃত জীবনের বিশাল পান্ডুলিপি অধ্যায়ন
করতে করতে যখন শেষ অব্দী এসে পৌছাই
তখনো বুঝতে পারি না কোন কিছু, মনে হয়
আরো একটু বিস্তারিত পড়তে পারলে হয়ত
আরো কিছু বুঝতে পারতাম।মনে হয় হল না
পড়া, বাকি রয়েগেল কত কিছু, হয়ত আরো
রয়েছে অনেক কিছু -উচু অথবা নিচু।আমাকে
আড়াল করে দাঁড়িয়েছে খাড়া পাহাড়, ঘুমের
চাদর জড়িয়ে সমগ্র বিশ্ব যেন ঢেকে রয়েছে
নীলাকাশ, বিশাল সমুদ্র আমাকে যেন শেষ
বারের মত অবগাহন করাতে চায়, অসহায়
হয়ত আমিই, নিরুপায়।কেউ কি জান, বিশাল
জীবনের এ পান্ডু লিপির সারাংশ কি?


ঠিক কোন অর্থে জীবন আমার, কি করে গেলাম
সমস্ত জীবন দিয়ে, কেন বিধাতা আমায় তাঁর
অমোঘ জীবন দান করেছিলেন।কি চেয়েছিলেন
তিনি আর কি পেলেন? কি দিলাম তাকে আমি
কি নিলাম।কি ছিল জীবনের সার কথা?
পবিত্র হয়ে জন্মেছিলাম, পবিত্র হয়ে কি
মরতে পারলাম? পাপের তাপে দগ্ধ হয়ে
অগ্নি কুন্ডে গলতে হবে পরপারে, কোন ক্ষমা
নাই পাপি, কোন ক্ষমা নাই।স্মরণ করিয়ে
দেওয়া হবে তোমার ও আমার সকল পাপ
যাকে তুমি ও আমি নিঃস্পাপ মনে করেছিলাম
সেখানেও পাপের বীজ লুকানো ছিল, এহ জগতে
ক্ষমা পেলেও পরজগতে ক্ষমা নাই কোনরূপ
পাপের।সত্যের শান্তি আর অসত্যের অশান্তি
এই হয়তবা জীবনের সারাংশ।