ঈশ্বর দেখছেন আর মিটি মিটি হাসছেন
তাঁর সৃষ্টি তাঁকেই ধূপের ছায়া দিচ্ছে আর নিজের জন্য
ছায়ার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখছে,
ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ভক্তি সহকারে...............
বিপদ এলে মন প্রাণ সকল আক্ষেপে ঈশ্বরের প্রার্থনা
করছে আর বিপদ কেটে গেলে মুহুর্তের মধ্যেই ভুলে যাচ্ছে
ঈশ্বর যাতনা।


ঈশ্বর দেখছেন আর মিটি মিটি হাসছেন
তাঁর সৃষ্টি তাঁকেই কথা দিচ্ছে আবার কথা ভঙ্গ করছে
উপোষ করছে, ঈশ্বরেরই ধনদৌলত ঈশ্বরকেই সমার্পণ করছে
বড় অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে-
চোখের জলে একাকার হয়ে যাচ্ছে-
একে অন্যকে বলছে-“তোমরা পাপ করো না”--
পাপী শুনছেই না,পাপ করেই চলেছে- পর সম্পদ, পর স্ত্রী,
সকলি ভোগ-সম্ভোগ করেই চলেছে-কিছু মিথ্যে লালসায়


ঈশ্বর দেখছেন আর মিটি মিট হাসছেন
কেমন করে তাঁর সৃষ্টি-----কাকের মতই
সাবান চুরি করে খড়ের চালায় গুজে রাখছে আবার
গৃহস্থ সে সাবান বের করে আনছে
মানুষ মানুষকে বোকা করছে, মানুষই মানুষের উপর
আধিপত্য বিস্তার করছে, নিজেকে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রমান করছে


ঈশ্বর সকলি দেখছেন আর মিটি মিটি হাসছেন
কত চটুল তাঁর সৃষ্ট মানব জাতি _


সত্যিকার অর্থে -মানুষ তো স্নান ঘরের দরজা
আটকে স্নান করারই মত-----চতুর
তাকে কেউ দেখতে পায় না ঠিকই---(মনে ভাবে)
দেখতে তো পায় জানালার ফোঁকর থেকে চুইয়ে আশা
আলোক রশ্মি, দেওয়ালের সাথে লেগে থাকা টিকটিকি
সর্বোপরি যে জলে অবগাহন, সেই জলই তো চিনে ফেলে
শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গের অনুভুতি।
তার সাথে চতুরতা কি করে করবে চতুর ?
ঈশ্বর কেবলই দেখছেন আর মিটি মিট হাসছেন।