আজকাল আর চিঠি লেখা হয়না-
তেল কুপি বা হারিকেনের কাপা কাপা আলোয় বসে
তোমাকে দু’ চারটে মনের কথা লেখার ধৈর্য কই আর
এখন তো শুধু মুখেই কথার খই ফোটে


মনে আছে আমার খেজুর পাতার পাটিতে উপুড়
হয়ে বসে লিখেছি কত চিঠি—
পোষ্ট করবার আগে পড়েছি বার কয়েক আর
অপেক্ষায় থেকেছি উত্তর পাওয়ার আশায়-তোমার
হাতের কাব্যিক লেখা পড়ার ব্যকুলতায়-
কত মধুর করে লিখে পাঠিয়েছ নকশী তোলা
প্যাডের পৃষ্ঠায় তোমার পিয়াসী মনের কথা-
ভালবাসার চিহ্ণ এঁকেছ তুমি
বারংবার চুমেছি তাকে আমি-


জেনেছিল ডাকপিয়ন!!
ডেকে বলেছিল, “চাই কিন্তু একটা ভাল আপ্যায়ন”
অমান্য করিনি তাকে,


তবে আজ ব্যস্ততম ঘুর্ণায়মান সময়ের টানে
ডাকপিয়নের কথা ভুলতে বসেছি-
প্রথম যে দিন তারফোনে তোমার কন্ঠ শুনতে পেলাম
আনন্দে আত্ম হারা হয়েছিলাম আমি-আর যখন বেতারের
মোবাইল ফোনে কথা বল্লাম-
সেই প্রিয় মুখ এ যেন তোমারই তো মুখ,
তোমার সকল সুখ - ডাকপিয়নকে
চিরদিনের জন্য হারালাম-যাকে দেখলে তোমার
শিহরণ জাগত আমার মধ্যে, যার একটি গোপন ডাকে’র
অপেক্ষায় থাকতাম অধীর আগ্রহে, যার পদধ্বণীতে ভেসে
আসত তোমার পদধ্বণী, এক রাশ প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিত
তার হাতের স্পর্শে পাওয়া তোমার চিঠির অনুভুতি
ভুলে গেলাম তাকে—
চা, কফি, কাটলেট, ওমলেট-মামলেট, ড্রিংকস-
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনার সবখানেতেই- হায়, হ্যালো-র
শৈল্পিক পদচারণায়-তোমার কিছু শিল্পকে হারালাম।


ডাক আর আসেনা.......
তোমার শৈল্পিক চিঠির ডাক অথবা ডাকপিয়নের গোপন ডাক