ইশ! প্রভূ আমায় কেমন জন্ম দিলেন
আমি বুঝতে পারলাম না-
নিয়ন আলোয় ঝকমকিয়ে জ্বলছে
চোখের তারা
এখানে সেই অন্ধ কুটির-প্রদীপ আলো হারা
সাজের কালো, জোনাক আলো কেড়ে নিল কারা ?
প্রভূ আমায় বলেছিলেন-নদীর ধারেএসে
দূর দিগন্তে যাবেন আমায় নিত্য ভালবেসে
এখানে সে নদী কই ? নৌকা তো আর চলে না
কালো পিচের মহাসড়ক রোদের আলোয়
ঝলমলায়-জলের স্রোত বহে না।
বলেছিলেন-
ক্লান্ত দুপুর-শ্রান্ত হয়ে বটের ছায়ায়
শান্ত হাওয়ায় আমার জন্য দাঁড়াবেন
শাখায় শাখায় ফুলে ফলে পাখির গান শুনাবেন
এখানে সে বটের ছায়া, শান্ত হাওয়া কোথায় রে
বড় বড় অট্টালিকা রয়েছে তো দাম্ভিকতায় দাঁড়িয়ে
বলেছিলেন মানুষগুলো শান্ত অতি ভক্তি মতি
সুখে দুঃখে আপন খুঁজে পাবিরে
হায় এখানে কোনটা মানুষ, পাথর দেয়াল
বুঝতে আমি পারিনা যে-
এই কি জীবন ভূবন আমার
যন্ত্র আওয়াজ বাজেরে
যন্ত্রনা বীণ হৃদয় মাঝে কেউ না বোঝে আমারে
এখানে সব ব্যস্ত অতি দ্রুত গতি
আসা যাওয়া
এখানে সুখ- শান্তি নাকি টাকায় পাওয়া
শুনে ছিলাম – ঝর্ণা ধারা নৃত্য, গীতী
প্রানবন্ত অনন্ত
এখানে সে ঝর্ণা বিনা
আলোক শয্যা গতর নড়ে, কোমর দোলে
ঝুমঝুমিয়ে মদ পিয়াসে নিরন্তর।
এটাই বুঝি শহর সে যে রূপ লাবণ্যে অনন্যা
এইখানে কি পিতা মাতা বাচ্চা-কাচ্চা পালে না
আমি ও ঠিক ঘরটা খুঁজে পাই না
কে বা আমার পিতা মাতা
তাদেরকে ও তো চিনি না
পথের মাঝে জন্ম আমার পথই হল ঠিকানা


তবে প্রভূর কথা হয়ত আমার ঠিক হল না।


রচনা:১০/০৪/১৫
ঢাকা।