ঘোড়ার খুঁরের ঐ আওয়াজ আসে ভেসে...
চি.....ই... হি... হি.... রবে খুরে খুরে ধুলা উড়িয়ে
রথ ছুটে চলেছে নিকটবর্তী যুদ্ধ ময়দানের দিকে
যোদ্ধা কে!
আর সারথীই বা কে ?
কার সাথেই বা যুদ্ধ!!
বটের ছাঁয়ায় দাঁড়িয়ে পার্থ স্ব-বিষ্ময়ে....
ধুলোর ঘোর কাটতেই প্রণিপাতে নত হল মস্তক
তা কি করে সম্ভব হতে পারে মাধব ?


তোমার রথ প্রস্তুত পার্থ, আর সারথি ও,
যতক্ষণ এই লাগাম আমার হাতে আছে ততক্ষণ
তোমার মন কে আমি বিক্ষিপ্ত হতে দেবনা
“রথ যুদ্ধের হোক বা জীবনের, আমি উত্তম সারথি পার্থ”


দুই দিকে আপন জন, বিশাল এ যুদ্ধের আয়োজন
কি রূপে অস্ত্র তুলে নিব আমি মাধব ?
আমার অত্মার সারথি হয়ে আমার জীবন রথকে
সঠিক মার্গে নিয়ে চলুন মাধব, কি জানতে পারলে
আমি আমার দুর্বলতা কাটাতে পারব ?


যে আত্মা পরিবর্তনের প্রচেষ্টাই করে না,
নিরন্তর অধর্ম করেই চলে, তাকে জাগ্রত
করার জন্য দন্ড দেওয়া অনিবার্য।
আজো এইরূপ স্থিতি উপস্থিত পার্থ,
আর ধর্ম স্থাপনা করার কর্তব্য তোমারই...
এই কারণে দূর্বলতা ত্যাগকর,
আর এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।


“যদাযদা হি ধর্মস্য, গ্লাণির্ভবতি ভারত
অভ্যুত্থানম অধর্মস্য, তদাত্মানং সৃজাম্যহম্,
পরিত্রাণায় সাধুনাং, বিনাশয় চ দুষ্কৃতাং
ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে”


রচনা:০৭/০৪/১৫
ঢাকা।