এটাই সত্যিকারের দুর্যোগ বুঝলে-
যখন রাত গভীর হয়-
পোয়াতী নারীর বাচ্চাটা ছটফট করতে থাকে
পেটের দেওয়াল ভেঙ্গে-
ঝড়ো বাতাস বৃদ্ধি পায়,ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টির আওয়াজ যেন
থামতেই চায়না।
গোয়াল ঘরের মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে
ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ হয়ে যায়-
হাতের কাছে লন্ঠন খুঁজে পাওয়া আর যায় না,
যদি ও পাওয়া যায়-দেশলাইয়ের কাঠিগুলো গুমরে
পড়ে থাকে ঝড়ো রাতে।
ঘরের দেওয়াল কে কালো পাহাড় মনে হয়।
বের হওয়ার দরজাটা ঘাপটি মেরে কপাট লাগিয়ে থাকে দম বন্ধ করে
বুঝলে-?
দুর্যোগ এলে-লুঙ্গির গিটটা খুলে পড়ে অন্ধকারে
চব্বিশ ঘন্টা সার্ভিস দেওয়া হাসপাতাল-ঝিমুতে থাকে
ডাক্তার নেই বলে।
পেটের ভেতর বাচ্চাটা লাথি, ঝাটা দেয়-
পোয়াতী নারী কাতরাতে থাকে প্রসব বেদনায়
শোনা যায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আওয়াজ-
গাছ পড়ে যাওয়ার শব্দ, মাছ পালাবার শব্দ


যখন ভোরের আলো ফুটবে ফুটবে করে
বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হয়-মায়ের স্তন শুকিয়ে যায়।
পুকুরের পাড় ভেঙে ক্লান্ত হেয়ে পড়ে থাকে,
ভেঙে পড়া গাছটি শুয়ে থাকে ক্লান্ত হয়ে,
লন্ঠন,দেশলাই, ইলেক্ট্রিসিটি যেন কিছুই জানে না
দুর্যোগ এভাবেই আসে চলে ও যায়
ভেঙেচুরে শান্ত করে।