কোন একদিন ভোরের আলোয় খুঁজে পেয়েছিলাম
দিগন্তের আভাস। ভালবাসার অন্যরকম অনুভব পেয়েছিলাম
আর বুক ভরে নিয়েছিলাম নিঃশ্বাস
সাদা, সাদা বাতাসের মত উড়তে চেয়েছিলাম আমার পালকে।


দিবাকর শুভাগমনে এনেছিল প্রাণ-ভূবনে,
তারই মুহুর্তলোকে-অন্তর্লীন হলাম-কালোমেঘের অন্তলোকে।


তখনো বুঝিনি আমি মা’কে ভালোবাসি....এত বেশি ...


হঠাৎ দূর গ্রামে কিছু আর্তচিৎকার শুনতে পেলাম-
বাঁচাও, আগুন!!
সাথে সাথে দুম, দুম-গুলির আওয়াজ
কি যে বিভৎস শিহরণ খেলে গেল আমার ভেতর বাহির!


আকাশ, বাতাস ধোয়াসায় কালো মেঘের ঘুর্ণিবর্তে ডুবে গেল
মুহুর্তের মধ্যে-দিগ্বিদিক ছুটতে থাকল অসহায় নারী ও পুরুষ।


শুনেছিলাম- এ মাটির অধিকার ছাড়তে হবে, ছেড়ে দিতে হবে
মাতৃভূমির মায়া।
কিন্তু কোনটিতে আমার ইচ্ছা ছিলনা, কখনো না।


আমার জন্মটাও হয়েছিল নয় মাসে ঠিক দশ মাস আর দশদিনে নয়।
তাই হয়ত কিছুটা নাজুক ছিলাম আমি। আমার জন্মদাত্রী মা কোলে
কাঁখেই মানুষ করেছিলেন আমায়।


আমি পুকুরের জলে সেই চাঁদ ভাসা মুখখানি দেখি,
টপটপ করে ঝরে পড়ে আমার চোখ ভেজা জল...মিলিয়ে যায়
পুকুর জলে।
ভিজে যায় মায়ের মৃত দেহ বৃষ্টির জলে, নিভে যায় আগুনের
লেলিহান-


যতই ধোয়াসা কাটে, ততই মুক্তির ঘ্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠে, জেগে ওঠে লাল সবুজ প্রান্তর-


ততই বিষাদময় লাগে মা হারা-সন্তান হারা, স্বামী হারা-পত্নী হারা
আত্ম বিপ্লব জাগে, শুরু হয় আপন জনের মায়া কান্না, অনাহার-অর্ধাহার, রোগ শোক, জরাজীর্ণতা


তার পরও কে যেন বলে-বাবা, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি
দেখ আকাশে বাতাসে ধ্বণিত হচ্ছে আমার স্বাধীনতা-
পতপত করে উড়ছে স্বাধীন পতাকা।


(আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি............)


তারিখঃ০৮।০৯।১৫
ঢাকা।