বেশ কিছুদিন জ্বর জ্বর লাগছে ভীষণ গায়
ওষুধ পথ্যে সারে না রোগ কি করি উপায়।


অজ্ঞবিজ্ঞ সকল ডাক্তার দেখল গতর টিপে
থার্মোমিটার ঝেড়ে কজন দেখল জ্বর মেপে।


সবাই যখন অপারগ আর ব্যার্থ ফিরে গেল
আমার কিন্তু জ্বরটা তখন একটু কমে গেল।


আলমিরাতে বাঁধাই করা কর্ণফুলি খাতা
তার থেকে নিলাম ছিঁড়ে দুটি সাদা পাতা।


গুণগুণিয়ে মনের মধ্যে ঘুরছে কিছু কথা
ভাবছি আমি লিখলে বুঝি হবে কবিতা।


দু’টি লাইন লিখে ভাবছি পড়বে এটা কে
লজ্জ্বা পাব এটা যদি বাবা এসে দেখে।


চিন্তা ভাবনা ঘুরিয়ে আমি লিখলাম অন্যটা
মন্দতো নয় ছন্দ করণ ভিন্ন ভাবনাটা।


কিন্তু আবার চিন্তা এল দেখে যদি ছোট
বলবে আমায় দাও না এনে কবিতার ফটো।


লজ্জ্বা তখন হাড়ি ভেঙে পড়বে সারা গাঁ
লিখব না তাই ভাবনা নতুন অন্য কোনটা।


লিখতে গিয়ে জ্বরটা আবার এল নাকি ফিরে
হরেক রকম চিন্তাভাবনা ধরছে আমায় ঘিরে।


পরিবার সামলে আমায় লিখতে হবে কথা
সমাজে ঢুকবে না কোনই কলুষতা।


বয়স বুঝে লিখতে হবে, লিখতে হবে সাবধানে
মতবিরোধ সৃষ্টি যেন না হয় কোনখানে।


মানবতার দিকে যদি রাখ তোমার দৃষ্টি
রাজনীতি, ধর্ম বাদে কর নতুন সৃষ্টি।


বিদ্রোহী লিখতে গেলে পড়বে কার কোপেতে
জীবন শেষে বৃথা যাবে কবিতার খাতাতে।


নানান দিকের নানান কথা ভাবতে গিয়ে আমি
মুসড়ে ফেল্লাম জ্বরের চোটে কাগজ দু’খানি।


এইবার যে সত্যি সত্যি এল ভীষণ জ্বর
কবিতার মাথামুন্ডু আমার থেকে সর।


তারিখঃ ২১।০৯।১৫
ঢাকা।