বাহান্ন মানে হার না মানা
একুশ মানে লাল,
মায়ের বুলি রক্ষিতে নিজ
প্রান দিলো দামাল।


বলেছিলো ওরা কাইড়া নিবে
মায়ের মধুর কথা,
যে কথায় মোরা ফুটাইয়া তুলি
সকল আবেগ ব্যাথা।


শাসনের নামে শোষণ করতো
দিতো সদা করাঘাত,
মনে করিলো ভাষাটাও কাড়ি
করবে কে প্রতিবাদ!


ওরা কি জানিতো বাংলার ছেলেরা
সবাই মায়ের ভক্ত,
জন্মদাত্রী আর জন্মভূমি মোদের
একই ভালবাসায় সিক্ত।


প্রয়োজনে বইবে রক্তগঙ্গা তবু
ছাড়বোনা বাংলা বুলি,
যে বাংলায় মায়ের কোলে শুয়ে
শুনিলাম কত গল্পগুলি।


না মানিলাম কোনো বাঁধা বিপত্তি
এগোলাম রাজপথে,
রফিক, সফিক, বরকত প্রমুখ
অহিউল্লাও মোর সাথে।


ধারা-জারি-আইন মাড়িয়া পায়ে
উত্তাল হলো প্রতিবাদ-
পুলিশের গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড়,
হানিলো সশস্ত্র আঘাত।


মায়ের মুখের একটা কথার লাগি
রাজপথে প্রাণ দিলাম,
মাতৃভাষার সম্মান ধরে রাখতে
নিজেই শহীদ হলাম।


গোটা বিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে
এ কোন মহান জাতি,
মাতৃভাষার জন্য যারা পাতিয়া দেয়
অস্ত্র মুখে বক্ষ ছাতি।


মরিলো বাঙালি, রক্ষিলো বাংলা
হলো একুশের বিজয়-
একুশে ফেব্রুয়ারি, সারা বিশ্ব করে
মাতৃভাষার জয়-জয়।


ভাষার তরে, দেশের তরে
শহীদ হলো যুব-তরুণ,
বাংলা ভাষা আজ পৃথিবী জুড়িয়া
ছড়ায় আলো হয়ে অরুণ।


২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নজরুল নিবাস, রাকুদিয়া।