আবীর,-- তোমরা পুরুষ মানুষ সব সময়'ই ভাবো, আমরা পণ্য-পসারি,
তোমরা আমাদের'কে অনেক কিছুর সাথে'ই তুলনা কর, যাহা- অ-সাড়ি।
তোমাদের ধারনা ভুল আবীর,- তুমি যেমন রক্ত মাংসে গড়া আমিও তাই,
আমাদের ও অনুভূতি আছে, বুকের ভিতর হৃদয় নামক যন্ত্রের কষ্ট পাই।


হ্যাঁ আবীর,- ব্যবধান শুধু এই টুকু'ই, সমাজে তুমি পুরুষ আর আমি নারী,
তুমি অকপটে যা বলতে পারো, আমি তা পারিনা, তুমি দিবস আমি শর্বরী।
তোমার আট-দশটা কলঙ্কের দাগও দিনের আলোর মত'ই- আলোকিত,
আর আমারটা একটু নি'জে ভাবো- সামান্য আঁচরেই আঁধারে পরিণত।


আবীর,- আমাদের নারীদেরকে বুঝতে হলে, তোমাকেও নারী হতে হবে,
বলছিনা তোমাকে শাড়ী পড়তে হবে, শাঁখা-সিঁদুর পড়তে হবে হ্যাঁ তবে।
তোমার মনের চোখ দিয়ে, আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, তা-না হলে-
কখনো তা বুঝবে না নারী কি, সমাজে কতটুকু গ্রহণ যোগ্যতায় চলে।


আবীর,- তোমরা সব সময়'ই একটা কথা বলে থাকো, জলের মত রং,
জল যেমন পাত্র ভেদে-ভেদে রং বদলায়, আমরাও নাকি তাই ,হ্যাঁ বরং-
তাও সত্যি, আমরা সম্মানে বাঁচতে চাই বলে, কিন্তু পালাতেতো চাই না,
মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পাড়ি, কিন্তু মৃত্যু আলিঙ্গন করতে পারিনা।


মৃত্যুর চাইতে রং বদলানোই শ্রেয় তাই না, তবুতো সমাজের অপদস্ত-
অপমান থেকে মুক্তি নিয়ে, কেউ-কেউ কাঙ্খিত লক্ষে'ই থাকে মনস্থ।
হ্যাঁ আবীর,- তোমরা যেমন প্রেমকে শ্রদ্ধা করো, আমরাও করে থাকি,
কৈশোরের প্রথমা প্রেম ভুলা যায়না, সারাটা জীবন মনেই গেঁথে রাখি।


এই- প্রেমের জ্বলন্ত চিতায়, ভিতরের কল কব্জা পুঁড়ে পুঁড়ে সব শেষ,
আবীর,- যা আজ শ্মশাণে পরিনত, আমার বাহ্যিক ছাড়া সব নিঃশেষ।
তোমায় নিয়ে কত টুকু সুখ ছিলো জানিনে, আজ- পারিনি সুখি হতে,
জানি ভুলা অসম্ভব তারপরও বলছি, মেনে নাও- নিয়তি ,এই মিনতি।
নীলা-