তোমার শব্দহীনা, চোখের ঘুঙুরে-, ঠোঁটের তালে তালে,
এ ঘর থেকে ও ঘর, এ বাড়ি ও বাড়ি, ডাঙ্গা থেকে জলে।
কত যে পিছু পিছু, ওগো ষোড়শী ললনা, তোমার ছলনায়,
পূর্নিমা ফেলে...অমাবস্যার রাত কাটে, যৌবনের কামনায়।


গোলাপের জলে, স্নানায়িত...ধূপ কাঠি শিয়রে রাখিয়াছি,
কৈলাসে ধ্যানাসনে, তোমার নামের জপমালা, জপিয়াছি।
কত সময় পার, কত বেলা উদয়, দেখা হয়নি পিছন ফিরে,
আজ- ভাবি আমি, কতই না নির্বোধ, কেন এই বালুচরে?


কত গোলাপ কুঁড়ি, ফুঁটিলো আবার, ঝরিলো বীরবেশে,
পূর্নিমার আশায় আশায়, কত রাত পোহালো,অবশেষে।
তারপরও...চোখের সামনে নাচে, শব্দহীনা চোখের সারি,
চকচকে জলে ভেজা, কাঁপা কাঁপা ঠোঁট, সেই ষোড়শী নারী।