ওরে- কুলাঙ্গার, ওরে- ধর্মের পাপাচার, আর কত খেলবি এই নিষ্ঠুর খেলা!
লাওয়ারিস কুকুরের মতন হস নিধন, এই কি নব- জীবন কেমন পথ চলা।
কতটুকু বুঝেছিস জীবনের মানে, কতটুকু জানিস জীবের কাহিনী, বল--
তাবলীক-জাম্মাত, ওয়াজ- মাহফিলে, গিলে ছিস জিহাদি কারবার সকল।


সেই- আরবের কালচার এনে এই বাংলায়, করিতে চাস অন্যায় অত্যাচার,
কল্পনার গল্পে মিথ্যা সাগরে মগজ ধোলাই, জানিস- আছে সৃষ্টি ধর্ম সবার।
তোরা কি জানিস ? বই কেতাবে থাকেনা লিখা, বাস্তবতার সকল বিধান,
পিতা-মাতার রক্তচুসে, আজ একি হলি তোরা, বড় আদরের ছিলি সন্তান।


একটি ট্রিগারের চাপে, একটি গ্রেনেটের ঢিলে, কত যে রক্ত কত হাহাকার,
আহ্- এ বুকের তাজা রক্তে সাঁঝের আকাশ, তারপরই ঘনী-ভুত অন্ধকার।
ওরে- কুলাঙ্গারের দল, দেখিসনি? গুলশান শোলাকিয়া, তবু কি হয়না শিক্ষা,
তোরা... নির্লজ্জ দেশদ্রোহী, কিসের ধর্ম কিসের স্বর্গ, তোদের জানাই ধিক্কা।


ওরে বল- জন্মের আগে কোথায় ছিলি, স্বর্গে না নরকে, সেকি জেনেছিস,
তাতো জানিসনে, তবে কেন মরা নিয়ে এত ভাবনা, থাক যতদিন বেঁচে আছিস।
কত- লক্ষ লক্ষ কোটি বৎসর গেলো, নিলি না খবর, চোখ ফুঁটেই ধর্ম পেলি,
সেই- ধর্মের নামেই মানুষ হয়ে মানুষ কোপা'লি, তাই অভিশাপে বিদাই নিলি।


দেখতি চেয়ে একবার, কি আছে পিতা-মাতার অন্তরে, কত স্বপ্ন কত আশা,
সন্তানের জন্য জমানো কত ভালোবাসা, আজ তোরা সব ভেঙ্গেছিস সহসা।
আজ, সেই বুকে কত রক্ত ক্ষরণ, তাই লজ্জায় তোদের করিতে চায়না বরণ,
লজ্জায় পালায় সমাজ থেকে দেশ থেকে, নইলে নিজে বরণ করিতে চায় মরণ।