দশটা পাঁচটা নয় ।
শিফ্টে কাজ করত মেয়েটা ।
ফোনে অনর্গল কথার স্রোত কেটে
তুলে আনত দিন যাপনের কড়ি ।
দুরন্ত আশা বুকে নিয়ে বয়স একুশ যখন
একা হয়ে গেল বিজয়া ।
বাবা চলে যেতেই ।
শুভর সাথে আলাপ ছিলই
সেই কলেজ থেকেই ।
পরিপাটি প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে
অনেকটা সময় গেল ।
বিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসবতো হলই
সঙ্গে হানিম্যুনটাও...
আগুন কিন্তু একটা ছিল কোথাও ।
ছাই দিয়ে চাপা ।
বিয়েতে কি ওরা কম দিয়েছিলো টাকা?
দাবি ছিল অহরহ ।
সাথে বিদ্রুপের যন্ত্রনা ।
অফিস থেকে ফিরে হাত ঘড়িটা রেখে
ক্লান্ত সেদিন শুভর বিজয়া ।
রোজকার ব্যাপার পড়শিরা তাই নিশ্চিন্ত ।
জানাল সকালের খবর ।
মিডিয়ার ধারালো বিশ্লেষণ,
বিবরণ ঘটনা পর্যন্ত ।
কেরোসিন না দড়ি
এই দ্বিধা ছিলনা বিজয়ার ।
তিনতলা বাড়ির উচ্চতা অনেক ।
অনায়াসে শুন্যে পাক খাওয়া বডি
মেপে নিল রাস্তার ধার ।
এই ভাবে আরও কত দশমি গেলো ।
এখন বৃদ্ধ শুভ
বিজয়া ফিরে এলোনা আর ।