আজকাল পার্কে খেলতে যাইনা।
কেন যাই না বলতে পারবনা।
মা বারণ করেছেন, বাবা বকেছেন
এগুলোর কোনোটাই নয়।
হয়ত অজানা কোনো কারণ।
কি কারণ বলতে পারবনা।


আজকাল স্কুলেও কম যাই।
পড়াতে মন বসেনা।
কেন বসেনা একথা বলতে পারবনা।
হয়ত ভাল লাগেনা পড়তে।


আমাদের বাড়িটা বড্ড ছোটো।
ছাদের ওপর একটা মস্ত আকাশ।
মা বলেছেন একদিন সেই আকাশে
বেড়াতে যাব। আমি একা।
আর কেউ যাবেনা।


এসব কথা বলতে গেলেই
মায়ের চোখে জল আসে আজকাল।
কেন আসে বলতে পারবনা।


সবাই বলে একটু ভাল হলেই
আমি আবার পার্কে যাব।
আইসক্রীম খাব।
অনেক মজা করব।
কেন ভাল হবার কথা বলে
আমি জানিনা। আমি তো ভালই আছি।


আমাদের বাড়িটা বড্ড ছোটো।
বাড়ির পাশে এক পুকুর মাছ।
বর্ষাকালে যখন পুকুর ছাপিয়ে জল উঠে আসে।
তখন অনেক মাছ আমাদের বাড়ির উঠানে খেলা করে।
আমি মাছ ধরতে গেলে বাবা রাগ করেন।
আমার শরীরে নাকি রক্ত কম,
যদি হাঁপিয়ে যাই।
থাকনা একটু কম রক্ত তাতে কি।


বাড়ি থেকে একটু দুরে
একটা বড় হসপিটাল।
সেখানে আমি যাই প্রায়ই।
বাবা নিয়ে যান।
সেদিন এক দিদি বল্লেন
আমি বাঁচব যতদিন,
রক্ত নিতে হবে ততদিন।
কেন বল্লেন, সে কথা
আমি বলতে পারবনা।
বাঁচতে গেলে কি রক্ত নিতেই হয়?


মাঝে মাঝে ভাবি এসব কথা,
হয়ত রক্ত খুব দামি।
তাই ভগবান আমাকে একটু কম দিয়েছেন।
কেন কম দিলেন বলতে পারবনা।
আমি তো ভালই আছি।
শুধু পার্কে আর খেলতে যাইনা।
কবে আবার যাব বলতে পারবনা।
হয়ত কোনোদিনই যাবনা।