ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে আজ চুমু ভোগ করা অবৈধ,
বস্তির খুপরি ঘরে যারা রোজ একটি করে ফুল কিনে তার সম্ভ্রম পান করে ।
তারাই ফুলের ক্রেতা,
ক্রেতাদের আজ আসা মানা  ।
লকডাউন নামের কি যেন স্থির সময় খাড়া।
আজ যে ফুলেরা বিক্রি হয়, পেট- সমাজের দায়ে,
তারা আজ সবাই হোম কোয়ান্টাইমে,
আজ বস্তির খুপরি ঘরে অর্ধবেলা  উপবাস করে কাটাচ্ছে যে ফুলেরা,
তাকে কে দিবে খাবার?
যারা তৈরি করেছে লকডাউন নামের স্থির সময়, তারা তো নিশ্চয়তা দেয় নি খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার।
তাই তো ফুল স্বেচ্ছাচারী বাতাসের সাথে উড়ে এসে পড়ে,
বিলাস বহুল  হোটেল কোন এক আবাসিক কামরায়-
কারো সঙ্গে করছে যৌথ হোম কোয়ান্টাইম খেয়ে বেঁচে থাকার আশায়।
ফুলেদের এসব সস্তায় জানা,
করোনায় যাবে না মারা- তবু্ও যদি যেতে হয় তবে মরব।
তবে না খেয়ে তারা মারা যাবে না
রাষ্ট্র  যদি না দেয় ভাত,
প্রয়োজনে সম্ভ্রম বেঁচে কিনে নিবে ভাত।