প্রিয়দর্শিনীর চোখে ছিল সন্ধ্যার ছায়া,
অন্তরালের ভাষা যে বুঝে কেবল মায়া।
চুপচাপ সে হেঁটে যেত রোজ নদীর ধারে,
আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম, স্বপ্নের ভারে।
তার চুলে ছুঁয়ে যেত বাতাসের দল,
অভিমান জমে থাকত বুকে রঙহীন জল।
প্রতিটি কথায় লুকানো ছিল গল্পের ছায়া,
সে কি জানত—আমি তাকে ভালোবাসি নিরালায়?
"তোমার নীরবতা আমায় শব্দ করে কাঁদায়,
তোমার একফোঁটা অশ্রু সমুদ্র হয়ে ঝরায়।"
হঠাৎ একদিন সে বলল, “চলো দূরে যাই,”
আমি বললাম, “তুমি থাকলে দূর বলে কিছু নাই।”
হাসল সে নীরবে, দুচোখে জল—
প্রিয়দর্শিনী জানত, বিদায়েরও আছে কল।
তার ঠোঁটের কোনে ছিল এক কবিতা,
যা আমায় রচনা করত প্রতিটা নিঃশ্বাসে।
সে বলত, “ভালোবাসা মানে সব ছেড়ে দেয়া নয়,
বরং ধরে রাখা, হোক সে স্বপ্ন কিংবা ভয়।”
"যে চলে যায়, সে ফেরা জানে না,
আর যে থাকে, তার চোখেই জমে অশ্রুধারা।"
নিঃশব্দ রাতে আজও দেখি তাকে,
চাঁদের আলোয় রঙ মাখা পুরনো কাকুকে।
আমার কবিতার পাতা ভিজে যায় বারবার,
যেন তার নাম লেখা অশ্রুরই অক্ষর।
প্রিয়দর্শিনী আজও আমার উপন্যাসে বাঁচে,
তার ভালোবাসা রয়ে গেছে প্রতিটি পৃষ্ঠার গাছে।
আমি লিখি—আর সে পড়ে নীরবে,
অশ্রুধারায় সে ডুবে থাকে, প্রেমেরই রবে।
"প্রেম ফুরায় না, মানুষ ফুরায়—
প্রিয়দর্শিনী ছিল, আছে—সে কেবল না বলায়।"