রাতটা যেনো রহস্যে ঘেরা, আকাশ জুড়ে ধূসর ধোঁয়া,
চাঁদটা আজ অন্ধকারে, কেমন লাগে কাঁদে হোয়া।
নীরবতা নামল ধীরে, পাখিরাও থেমে গেছে,
চোখের পাতা জমে আছে, বাতাস যেন বেজে বেজে।
গ্রামের মাঠে দাঁড়িয়ে শিশু, বলে—"মা, চাঁদটা কোথায়?"
মা বলে, "চুপটি থাকো, ওটা আজ ধরা পড়েছে মহাকালায়।"
বৃদ্ধ পল্লীর এক দাদু, কয়—"এই দৃশ্য খুব পুরোনো,
প্রকৃতির এই অভিমানেও, লুকিয়ে থাকে পবিত্র বর্ণ।"
নদীর ঢেউ থেমে যায়, গাছের পাতায় ভয় জমে,
চাঁদের গায়ে ছায়া পড়ে, কে যেনো তাকে চুপিসারে চুমে।
মহাকাশে কারা যেনো, করে অদৃশ্য অভিশাপ,
চন্দ্র যখন মুখ লুকায়, মানব মনে জমে পাপ।
একটি শিশু আঁকড়ে ধরে, তার পিতার গামছা কোণা,
বলে, “বাবা, চাঁদটা মরলো?” — এই প্রশ্নেই কাঁপে বুনো বর্ণনা।
বাবা কয়, “না রে পাগল, চাঁদটা শুধুই লুকিয়ে,
নিয়ম মানে মহাবিশ্বে, এটাই তো প্রকৃতি শিখিয়ে।”
চাঁদ যে কাঁদে গোপনে গোপনে, সূর্য পিঠে ছায়া ফেলে,
আলো-আঁধারির এই খেলা, সত্য-মিথ্যা বুকে বয়ে চলে।
এই চন্দ্রগ্রহণ শেখায়, কিছু হারালে ভয় নেই রে,
আলো ফেরে ধৈর্যের পরে, অন্ধকারে ঘর হয় ভরে।
"একদিনের ছায়া যদি, চাঁদের আলোকে ঢাকে,
তবে হাজার বছরের ইতিহাসেও, সত্য একদিন জ্বলে থাকে।"
কবি দাঁড়ায় আকাশতলে, হাতে কলম, চোখে জল,
বলে— “চন্দ্রগ্রহণ শুধু নয়, জীবনেরও এমন অনেক ফল।”
একটু আলো নিলেই তবে, পৃথিবী ঝলমলে হয় না,
অন্ধকারই শেখায় কাকে, কিভাবে আলোয় পথ গড়তে হয় না।
শিক্ষার্থীর পাতে পড়া, হোক শুধু নিয়ম নয়,
চন্দ্রগ্রহণ হোক পাঠে, জীবনের গভীরময়।
ছায়া মানে ভয় নয় রে, এ এক শিক্ষা বড়,
সময় মতো সব ফেরে ফিরে, আকাশ মুছে সব ঝড়।