কিছু মুখে হাসি লেগে থাকে, পেছনে শকুন হাসে,
অন্তরে বিষ, হাতে রোজ ক্ষমতারই বাসে।
ভোটের নামে নাটক চলে, অভিনয়ে মন,
গরীব সেথা ভাত চায় আর ধনী গোনে ধন।

মন্ত্রী বলে “দেশটারে আমি স্বর্গ বানাবো,”
চেয়ারম্যান গলায় মালা, হাতে পাকা চাবি নেড়াবো।
কিন্তু ভিতরে? হায় রে ভাই! হিসাব মিলাতে পারি না,
দুই কোটি বাজেট গেলা কই? গ্রামের একটা হাঁট ঘরও হারা না!

পাকা রাস্তা আঁকলো তারা, বর্ষায় সব ভাসে,
সাত দিনেই ফাটল ধরে, ভরসা তাতে ভাঙে আশে।
গরীব বলে কর্জ নিয়েছে, স্কুলে দেয়নি ছেলে,
অফিস ঘরে ঘুষ না দিলে কাজ তো বন্ধই চলে।

মেম্বার সাহেব লিস্ট বানান, ভিজিএফে নাম,
যার ঘরে তিনটা ঘোড়া, তাকেই মেলে ‘দান’।
কিন্তু পাশের ছিন্ন ছায়ায় কাঁদছে এক মা রোজ,
ভাতের জন্যে হাহাকার আর চুলায় শুধু পোড়।

“গরীব ভাতের জন্যে যুদ্ধ করে, আর ধনী ভোটের জন্যে” —
এই দেশে বিবেক মরে গেছে, কত কাল আগের ঘটে।
জন্মভূমির নাম বেচে ওরা করে পুকুরচুরি,
মুজিব কোটে লুকিয়ে থাকে শত শত দুর্নীতি গুলি।

চেয়ারে বসে মিনিস্টার হাসে, প্রজার চোখে জল,
তিন টাকার ওষুধ কিনতে দেয় না তারা বল।
হাসপাতালে সিট নেই আজ, ঘুষ দিলেই হয়,
গরীব বলে মরতে হলো, দায় কি কারো রয়?

একটা চালের বস্তার জন্য কাড়াকাড়ি লাগে,
দাতার ছবি ছাপিয়ে নাচে, মানবতা রক্তে জাগে?
আসলেই তো, দান করে তারা ছবি তোলার আশায়,
গরীব তখন পর্দার পেছন, তাদের গল্প হাসায়।

বলে, “আমরা উন্নয়নের ধারা বইয়ে দিয়েছি হোক,”
কিন্তু দেখো, পাশের স্কুলে ছাদের নিচে ফোঁক!
পড়ার খাতা ছিঁড়ে নেয় ইঁদুর, শিক্ষক নেই ক্লাসে,
প্রধান শিক্ষক ব্যস্ত এখন সফর করতে নাসায়!

এই যে সোনার বাংলায় আজ দুর্নীতি ডালে ডালে,
নৈরাশ্যের জালে বাঁধা শত শত তারুণ্য ঢলে।
চাকরি পেতে লাগে চেনা, লাগে টাকা বেশ,
যোগ্য হলে হয় না কিছু, যদি ঘাড়ে না হয় দেশ।

কেউ করে কোটি টাকার ঋণ, পরে দেয় না ফেরত,
আদালতে লুকায় ফাইল, ধরা দেয় না সত্যরত।
রক্তে কেনা স্বাধীনতা আজ ছিঁড়ে ফেলা চিঠি,
আমরা বলি “দেশ প্রেমী”, আসলে দেখি জ্বালায় বেদনার ভীত।

“শিক্ষিত তারা কাগজে কলমে, কিন্তু বিবেক হারা,
জ্ঞানী হতে পারেনি তারা, দেশটা করে সারা!”

হে প্রিয় তরুণ, হে সাহসী মন, উঠো তুমি জেগে,
এই যে অন্ধ রাত চলেছে, রুখো সবাই এগিয়ে।
দুর্নীতির এই বীজ গুলো উপড়ে ফেলো শেকড়,
নইলে একদিন হারাবে তুমি, নিজের জন্মভূমির মুখের।
"যদি বিবেক ফিরে আসে, তবে দেশটাও ফেরে,
আসুন তবে, গড়ি সবাই—একটা সত্যি সোনার ঘরে!"