★প্রথম খণ্ড : একাদশ আদিত্যের জ্যোতি
সুর্যলোকেতে জ্যোতি ছড়ায়, আছে একাদশ নাম,
আদিত্যগণ, স্বর্গের শোভা, দেবগণের প্রাণ।
কাশ্যপ ঋষি, অদিতির গর্ভে জন্মিল সূর্যসন্তান,
একাদশ আদিত্য মহাশক্তিশালী, মহাতেজ, মহাযশ মান।
বিবস্বান – প্রথম আদিত্য, যিনি সূর্য স্বয়ং,
আলো দিয়ে উদ্ভাসিত করেন, দিন রাত্রির সংযম।
অর্যমান – ধর্মপথের রক্ষক, সত্যনিষ্ঠ মহান,
যিনি অগ্নিহোত্র ও যজ্ঞের ধারক, ব্রাহ্মণদের প্রাণ।
পুষা – দেবগণ মাঝে স্নেহময়, পালক যিনি প্রাণের,
ভক্তদের রক্ষা করেন সদা, ধ্যানীর অভিষেক করেন।
ত্বষ্টা – সৃষ্টির মহান শিল্পী, দিকদর্শক তিনি,
ব্রহ্মার সহকারী, দেবশিল্পের রহস্য জানেন তিনি।
সব্যসাচী – যিনি তেজস্বী, ধনুর্বিদ্যার মূল,
অর্জুনের মতো যোদ্ধাদের মাঝে, তিনিই আদর্শ অনুকূল।
দত্ত – যিনি দানশীল, যজ্ঞের অধীশ্বর,
জ্ঞান ও ধর্মের ধারা তিনিই, শক্তির এক প্রহর।
ভগ – যিনি সৌভাগ্যের দাতা, ভাগ্য দেবতা মহীয়ান,
দেবগণের সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ান, তাঁহার কৃপা অনুপম।
বৃষভান – যিনি দেবলোকে শক্তির উৎস,
রুদ্রের মতো প্রতাপশালী, তিনিই প্রলয়ের হুংকার।
মিত্র – যিনি বন্ধুত্বের আদর্শ, যিনি সবার সাথ,
সমতা, সহানুভূতি, মৈত্রীর ধারক, করুণার এক পাত।
বরুণ – যিনি জলদেবতা, সাগরের মহাশক্তিধারী,
ধার্মিকদের রক্ষা করেন, পাপীদের করেন ভারী।
ইন্দ্র – দেবরাজ স্বয়ং, দেবতাদের রাজাধিরাজ,
যুদ্ধের মহাযোদ্ধা, বজ্র হাতে করেন মহাসাজ।
তাঁহাদের জ্যোতি আলোকিত করে, ধরাকে দেয় প্রাণ,
একাদশ আদিত্যের কৃপায় ভক্ত পায় জীবন দান।
★দ্বিতীয় খণ্ড : দ্বাদশ গোপালের গৌরব
গোপালদের কথা শোনো হে ভাই, তারা কৃষ্ণের প্রিয়,
দ্বাদশ গোপাল ধরণীতে এলেন, হলেন ভক্ত জনের নিয়া।
গোলোক হতে আসিল যাহারা, গোপালের মহাশক্তি,
গোকুলে লীলা করিলো তারা, রাখিল কৃষ্ণের ভক্তি।
শ্রীদাম – কৃষ্ণের হৃদয়বন্ধু, প্রেমের অনুপম ধারা,
যিনি কৃষ্ণের সাথে খেলিতেন, গৃহে আসিত তাঁরা।
সুভল – যিনি ছিলেন মহাজ্ঞানী, মধুর বাক্যধারী,
প্রভুর দাসত্বে থাকিত সর্বদা, প্রেমে পূর্ণ শিখরী।
বিশাল – মহাতেজস্বী, কৃষ্ণের একান্ত সাথী,
কৃষ্ণ যেথায় যেতেন, সেথায় থাকিত তাঁর মিতালী।
ভদ্র – নম্র, কোমল হৃদয়, সত্যধর্মের গুণ,
সদা কৃষ্ণের পাশে থাকিতেন, রাখিতেন করুণ।
মহাবল – বলশালী, যুদ্ধে অদ্বিতীয়,
কৃষ্ণের রক্ষক, সাহসী গোপাল, ছিলেন অগ্নিতুল্য।
স্টোক কৃষ্ণ – কৃষ্ণের অনুরূপ, প্রেমময় গোপাল,
কৃষ্ণের ভক্তির প্রকাশ তিনি, প্রেমে পরিপূর্ণ অবিচল।
অর্জুন – যিনি দয়ালু, রক্ষাকর্তা,
গোচারণে সিদ্ধ, গাভীদের পালনকর্তা।
লভঙ্গ – যিনি ছিলেন আনন্দময়, হাস্য রসিক মহান,
গোপালদের মাঝে শোভিত ছিলেন, করুণার এক প্রাণ।
চন্দ্রহাস – মধুর হাসিতে করিতেন মোহিত,
শ্রীকৃষ্ণের সেবায় থাকিতেন, পরম প্রেমদণ্ডিত।
পট্রক – যিনি ছিলেন শক্তিমান, ধর্মপথের ধ্রুবতারা,
গোপালদের রক্ষায় সর্বদা ছিলেন, প্রেমময় ধারা।
ভ্রমর – যিনি ছিলেন কৃষ্ণপ্রীতি রসে ভাসমান,
তাঁহার কীর্তন শুনিলে ভক্তরা হইতেন দাসানুদাস প্রাণ।
করন্ধম – দ্বাদশতম গোপাল, প্রেম ও ভক্তির আধার,
যিনি কৃষ্ণের পায়ে আশ্রয় লভেন, ছিলেন ভক্ত সমাহার।
★তৃতীয় খণ্ড : একীভূত সান্নিধ্য
একাদশ আদিত্য সূর্যস্বরূপ, জ্যোতিঃময় তাপ,
দ্বাদশ গোপাল কৃষ্ণপ্রাণ, প্রেমের মহাশক্তি সাপ।
তাঁহাদের কীর্তি যুগে যুগে গাহে ভক্তগণ,
জ্যোতি ও প্রেম একসাথে মিশে, হয় ধরণীর প্রাণ।
সত্যের আলো জ্বালো হৃদয়ে, করো আদিত্যের ধ্যান,
ভক্তির সুধা পান করিতে করো, গোপালদের গুণগান।
যে কৃষ্ণের পথে চলে, সে হয় ধন্য,
আদিত্যের কৃপায় সে পায় মুক্তি, হয় ব্রহ্মজ্ঞ।
শ্রীহরি করুণাময়, তিনি রক্ষা করেন যারে,
তাহাদের পুণ্যগাথা লোকেতে রবে, যুগে যুগে ধারে।
প্রণাম করি একাদশ সূর্যে, প্রণাম করি দ্বাদশ প্রেম,
তাঁহাদের আশিস লভিয়া, ধন্য হোক এই ভুবন।