নূতন কুড়ি ফুটছে আবার, মাটির বুকে নীরব চাষে,
নব আলোর সূর্যটা যেন ডাকছে তাকে আশায় ভাসে।
নুয়ে পড়া ডাল ভাঙেনি আজ, বুকের মাঝে শক্তি সঞ্চয়,
তাকে ঘিরে স্বপ্ন গাঁথে— ঘুম ভাঙা ভোরের এক বিজয়।
পৃথিবী জানে না তার ব্যথা, জানে না তার প্রতিরোধ,
সে তো এক নিঃশব্দ সৈনিক, বুকে লুকায় প্রার্থনার স্রোত।
"বুকের ভিতর আগুন যারা পোষে, তারাই তো জাগায় আলো,
অন্ধকারের ভেতর দিয়েই পৌঁছায় তারা প্রভাতের পালো।"
ধুলো-মাখা পথের মাঝে, কুড়ি বাড়ায় তার শরীর,
তাকে দেখে বাতাস হাসে, রৌদ্র দেয় শুভ নমস্কারীর।
সে জানে, কিছুদিন পরেই হবে সে ফুলের অভিজ্ঞান,
মানুষ তাকে ছুঁতে চাবে, ভালোবাসবে অবিরাম।
"যে কুড়ি বাঁচে যুদ্ধ করে, সে ফুল হয় না সবার মতো,
তার গন্ধে থাকে ইতিহাস— ক্ষতের মতো অনির্বচনীয় ক্ষত।"
পাহাড় যদি দেয় বাধা তাকে, সে তা ঘিরে বেড়ে চলে,
নূতন জীবন, নতুন বীজে, বাঁচতে চায় কলি যত গলে।
নীরব শাখা কাঁপে হাওয়া, কুড়ি তবু চুপ করে শোনে,
তার হৃদয়ে উচ্চারণ— "আমি আছি, কারণ আমি বাঁচতে জানি।"
দেখো কুড়ি ভাঙে না সহজে, তাকে লাগে যতই ঝড়,
সে জানে— "এই দুঃখের ভেতরেই সুখের ইশারা লুকায় পড়ে।"
নূতন কুড়ি তুমি-আমি, আমরা যারা আশা বুনে,
চাই একটু আলো, একটু প্রেরণা, জীবনের প্রতিদিনে।
পিছু টেনে ধরবে বহু হাত, ছুঁড়ে দেবে ব্যর্থতা,
তবু বলো — "আমিও একদিন হবো কারো জীবনের চমৎকারতা।"
"হৃদয়টা ভেঙেছে বলে ভাবো না শেষ—
সেখানেই তো নতুন কিছু জন্ম নেয় প্র্রতিদিন বেশ।"
তোমার মাঝেই গাঁথা সে কুড়ি, ভাবনার নির্জন এক কোণে,
যদি ভালোবেসে ডাকো তাকে— সে জেগে উঠবে জীবনের টোনে।
নূতন কুড়ি শিখিয়ে যায়— থেমে থাকো না দুঃখের গল্পে,
তোমার মাঝেই গড়ে উঠবে, আগামী এক সম্ভাবনার দলে।
"তুমি যদি নিজেকে বিশ্বাস করো, তবে পুরোনো জীবনও নতুন হয়,
নূতন কুড়ি তারই নাম— যে বারবার হেরে গিয়েও জিততে ভয় পায় না কভু সময়।"