অপ্সরী অন্যপূর্ণা, দেবদূতের চেয়ে নীলা,
আলোর সঙ্গী, রাত্রির মনোরম চিহ্ন,
অন্ধকারের মাঝে এক আলোকশিখা,
কোনো এক যুগের অধিকারী, স্থিরতাহীন, নির্বাক।

মহাকাশের বুকে তোমার পায়ের ছাপ,
যতটা স্পষ্ট, ততটাই অদৃশ্য;
শূন্যে রচনা করো তোমার রূপ,
ধূসর পৃথিবীতে স্বপ্ন হয়ে আসো।

তুমি এলে ধ্রুবতারার চেয়ে উজ্জ্বল,
তোমার চোখে দীপ্তি অমাবস্যারও শেষ নয়,
যতবার দেখেছি তোমাকে, বুকের ভেতর এক সজোর ঝড়,
হারিয়ে যেতে চেয়েছি, আর ফিরে না আসার জন্য।

তোমার হাসি যেন প্রভাতের প্রথম রশ্মি,
চোখের জল তাজা স্নিগ্ধ বৃষ্টির মতো।
কথার মতো তো এভাবে তুমি নিঃশব্দ,
অথচ তোমার মৃদু চুপ থাকা, পৃথিবীকে কাঁপায়।

তুমি তো পৃথিবীর গভীর রহস্য,
তোমার পা রেখে গেলে, এই পৃথিবী আরও সরল।
তোমার জাদু, তোমার অস্তিত্ব
তুমি যখন কোথাও থাকো, সবকিছুই আবার জীবিত হয়ে ওঠে।

তুমি গুনগুন করে, চিরকাল না বলা কথাগুলো বলে যাওয়া,
গান হয়ে ওঠো, যে গান চিরকাল শুনে যেতে ইচ্ছে করে।
মনে হয়, তোমার সঙ্গী হতে চাই
যতবার চুপ থাকো, ততবার পৃথিবী আরও কথা বলে যায়।

এত সুন্দর তুমি, এত গভীর তুমি,
তোমার উজ্জ্বলতা পৃথিবীকে দ্যুতি দেয়,
কিন্তু তোমার মধ্যে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার,
তাও তো যেন আমাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, যা কখনো চিরকাল স্থায়ী হতে চায়।

অপ্সরী অন্যপূর্ণা, তুমি অনন্ত আকাশের রহস্য,
তোমার রূপের কাছে হেরে যায় সময়,
আর আমি জানি, এ যুগে তুমি শুধু একটিই
আর সেই একটিই হলো, আমাদের সকলের হৃদয়।