প্রথম খণ্ড : অষ্টবসুর গাথা
স্বর্গের কোলে এক দিব্যলোক, জ্যোতির্ময় সে ধাম,
অষ্টবসু তাহে থাকিত মহারথী, ছিলো যশস্বী নাম।
ধৃতরাষ্ট্র, দ্রোণ, প্রভাস, সোম, অনিল ছিলো যেথা,
অপর তিন – অর্প, দ্রুভ, এবং প্রাচেতস – ছিল সেথা।
শ্রীহরির কৃপা ছিল তাদের, দেবরাজের সাথ,
তবু একদিন অলীক মোহে করিলো মহাপাপ।
প্রভাস দেখিল পার্থিব কান্তি, বসুর মধ্যে শ্রেষ্ঠ,
বসুদের মাঝে প্রথম সে হল কালবশে দুষ্ট।
বশিষ্ঠ মুনি করিল শাপ, মানব জন্ম হোক,
কুন্তীর গর্ভে তাহাদের হবে, ক্ষত্রিয় বীরের লোক।
ভীষ্ম নাম সে পেল পরবর্তীতে, গঙ্গাপুত্র হেথা,
অন্যরা লভিল মুক্তি, প্রভাস ছিলো বেঁধা।
দ্বিতীয় খণ্ড : অষ্টকবিরাজের গৌরব
অষ্টকবিরাজ যাহারা মহাজ্ঞানী, মহাপুণ্যবান,
বেদ, শাস্ত্র, যজ্ঞের ধারক, সত্যধর্মের প্রাণ।
বৃহস্পতি, শুক্র, মেধাতিথি, বশিষ্ঠ মহাতেজ,
গৌতম, কাশ্যপ, অত্রি, বিশ্বামিত্র নিরুপম।
বৃহস্পতি দেবগুরু, শাস্ত্রজ্ঞানে শ্রেষ্ঠ মহামতি,
শুক্র ছিলেন দানব গুরু, যিনি জানেন অমরত্বের গতি।
মেধাতিথি যোগসিদ্ধ, ব্রহ্মজ্ঞানে মহান,
বশিষ্ঠ মহর্ষি, রাজকুলের অমোঘ দীক্ষাগান।
গৌতম আশ্রম স্থাপিয়া করিল মহাযজ্ঞ,
কাশ্যপ ঋষি সৃষ্টিকর্তা, জন্ম দিলো দেব-অসুর জন।
অত্রি মুনির তপস্যাতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ধরা,
বিশ্বামিত্রের গাথা মহাকাব্য, ত্রৈলোক্য জয় করা।
তৃতীয় খণ্ড : ধর্মের মেলবন্ধন
বসুদের শক্তি, কবিরাজের জ্ঞান, মিলিল এক ধারা,
পার্থিব জীবন, স্বর্গীয় তপস্যা, করিলো একসারা।
ধর্মের পথে তারা দেখাইল আলো, রচিলো মহাগান,
দেব, মানব, ঋষি, যশস্বীরা, করিল পূজন।
শ্রীহরি করুণা করিয়া দিলো আশিসময়,
বসুদের মুক্তি ঘটিল, পুণ্য ধারা বইলো অক্ষয়।
অষ্টকবিরাজ রইল চিরকাল ধর্মের মহাবাণী,
বসুদের গাথা ভাসিল লোকেতে, রইলো মহাকীর্তি আনি।
জপো হে নাম, স্মরো হে গুণ, করো বসুদের ধ্যান,
অষ্টকবিরাজের পুণ্য আলোয় করো আত্মা পবিত্র জ্ঞান।
শ্রীহরি রক্ষা করুন যারে, তারে নাহি ক্ষয়,
ধর্মমতে চলিলে জীবন – পাবে মুক্তি জয়!