অভেদ্য মায়া, অদৃশ্য সুত্র,
যে আঁকে হৃদয়ের গহীন কোণ,
বড়ই গভীর, একেবারে অগোচরে,
যতই ছাড়ার চেষ্টা করি, আরও আটকে যায় মন।
চোখের তারায় ঝলকিত স্মৃতি,
চেনা পুরোনো গন্ধ, হাসির কথা,
পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যেভাবে,
মেঘের সাথে কথা বলে হারানো যাওয়া সময়।
তুমি আমাকে চাওনি, তবে আমি তোমায় চাই,
একমাত্র মায়ার লীলায়, আমি হয়ে গেছি বন্দি,
তবুও তুমি কিছুই জানো না,
তুমি না জেনেই, হারিয়ে ফেলো এক পিঠে এক পৃথিবী।
অভেদ্য মায়া, অনন্ত অপেক্ষা,
যে যাত্রা ভুলে গিয়েছি, তুমি যখন দূরে,
তবে, এই দুঃখ তো তাও স্বপ্নের মতো,
কখনোই নিঃশেষ হয় না, যেন চিরকাল অব্যক্ত।
পথ ভুলে গেলে, হাতটি তোমার চাই,
এখনো তোমার পাশে আছি, যতটুকু কাছে আসা যায়,
মনের ভিতর লুকানো সেই ভয়,
এই অভেদ্য মায়া কখনো হারাবে না, তাও এক চিরন্তন বেঁচে থাকা।
এ পৃথিবী ফিরে ফিরে যায়, নক্ষত্ররা যায়,
একের পর এক দিনের অন্ধকারে খোঁজে দেখা,
কিন্তু জানো, তুমি যদি হারাও,
তবে এই মায়ার গহীন অন্ধকারে হারিয়ে যাবো, আমি যে তোমারই এক অবলম্বন।
অভেদ্য মায়া, তুমি কখনো বিদায় নেবে না,
আমাদের প্রেমের প্রতিটি স্নেহের ভাষা,
এ জীবন যে তাও তুমিই লেখেছো,
তোমার হাতে, তোমার রেখায় আঁকা রেখার মতো,
অভেদ্য মায়া, মুছে ফেলা যায় না।