অতঃপর_________!!

তুমি কি জানো ‘শ্রী লেখা’ মানে শুধু নাম নয়—
এ এক দাগ, এ এক দৃষ্টিতে লেখা
একটি জীবনের অনুবাদ,
যেখানে আমি ছিলাম ছায়া, আর তুমি ছিলে আলো।

প্রথম দেখা সেই গ্রীষ্মের দুপুরে—
তোমার চোখে লেগে ছিল বৃষ্টি, আর আমার কণ্ঠে কাঁপা নাম।
তুমি বলেছিলে—
“তোমার চুপ থাকা অনেক কিছু বলে।”
আর আমি ভেবেছিলাম, এই মেয়ে বুঝি পড়তে পারে হৃদয়ের ভাষা।

তারপর একেকটা দিন, একেকটা পালক হয়ে
আমাদের স্মৃতির পাখির ডানা গড়েছিল—
লাল শাড়ির দুপুর, সাদা কাগজে হাতের লেখা,
আর কিছু না বলা অভিমান…

“তুমি ছাড়া দিন কেবলই দীর্ঘ,
যেন প্রার্থনার শেষে শব্দহীন ঈশ্বর।”

তুমি বলেছিলে, “ভালোবাসা মানে মুক্তি,”
আর আমি বুঝতে পারিনি—
সে মুক্তি তোমার, না আমার শূন্যতার?

আমরা হেঁটেছিলাম বিসর্জনের পথে—
তুমি হাতে মুঠো করে রেখেছিলে কিছু শব্দ,
যা কখনো বলোনি।
আর আমি রেখেছিলাম চিঠি,
যা কখনো পাঠাইনি।

তবু, সময়ের নদীতে সাঁতার কেটে
তুমি পৌঁছেছিলে অন্য কোনো ঘাটে—
আর আমি রয়ে গেলাম, শিকড়ের মতো—
বৃক্ষের গোপন কান্নায়।

“ভালোবাসা যদি হয় নদী,
তাহলে তুমি ছিলে সেই নদীর স্রোত, আমি কেবল পাড়।”তাই শুধু ভেঙেই গেলাম বারংবার


---প্রতিটা জন্মদিনে তোমার জন্য একটা কবিতা লিখি,
যা কেউ পড়ে না— শুধু আকাশ জানে,
আর আমার জানলার বাইরের শিউলি গাছ।
তাদের ফুল ঝরে পড়ে, ঠিক যেমন
তোমার স্মৃতি ঝরে পড়ে প্রতিটি সন্ধ্যায়।

কিছু নাম মনে থাকে না,
কিন্তু কিছু অনুভব জীবন জুড়ে থাকে—
‘শ্রী লেখা’ সেই নাম নয়,
সেই অনুভব।

ভালোবাসা সবসময় দুটি মানুষের গল্প নয়—
এ এক আত্মকথা,
যেখানে একজন চিরকাল থেকে যায় অপেক্ষার দিকে মুখ করে। এটা শেষ হয় না, শুধু রঙ বদলায়,
আবেগ বদলায়,
আর “ভালো থেকো” নামে কিছু অদৃশ্য শব্দ
বুকের গভীরে চিরকাল বাজতে থাকে।


“ভালোবাসা যদি না-থাকে তোমার পাশে,
তবুও থাকবে তুমি আমার সমস্ত লেখার ভিতর।”