ভোরের আকাশে নীল জ্যোৎস্না বুনে
চুপিসারে আসে সে রুপকথার ধুনে।
চোখে তার থাকে এক স্বপ্নের দীপ্তি,
সেই তো স্বপ্নলোকের রাজকন্যা নিত্য।
তার নাম কেউ জানে না এ ধরণীতে,
তবুও সে নামে জাগে মনে কবিতার চীৎ।
মেঘেরও গায়ে সে আঁকে নীল কলি,
কণ্ঠে তার যেন মধু বেজে চলে ঢলি।
একদিন ঘুমিয়ে পড়া এক কিশোরীর মনে
সে নেমে এলো ছায়া হয়ে নির্জন স্তব্ধ বনে।
বললো— “চলো আজ, যাই সীমানার পরে,
যেখানে নদীও গায় আগুনের কোরাস সুরে।”
চোখ খুলে দেখে সে— এক সোনার সাঁকো,
ঘাসে হীরের রেণু, বাতাসে কাব্য আঁকা।
সেখানে কাঁদে না কেউ, হারায় না কেউ,
কোনো ভালোবাসা মরে না, শেষ হয় না নেউ।
রাজকন্যা তার পাশে, হাত রাখে হালকা,
কথা কয়— “ভালোবাসা মানে নয় শুধু মালা গাঁথা।
ভালোবাসা মানে এক সাহসী স্বপ্ন-ছোঁয়া,
যেখানে ভয় নেই, শুধু হৃদয় খোলা।”
সে শেখায়,
“ভালোবাসা মানে যুদ্ধ নয়, ক্ষমার বিজয়,
যেখানে কান্নাও সুর হয়ে বাজে নিঃস্বয়ে।
স্বপ্ন মানে শুধু ঘুমের ছবি নয়,
স্বপ্ন মানে — যুদ্ধে হাসি, আলোয় জয়ের ক্ষয়।”
তার হাঁটা যেন ছন্দের চলন,
চোখে তার যেন ছিলো নবজন্মের গলন।
সে চলে গেলে রেখে যায় পদচিহ্ন আঁকা,
যার প্রতিটি রেখা বলে—
“ভালোবাসা চিরন্তন, আর স্বপ্নই ভাগ্যলেখা।”
দিন যায়, রাত আসে, গল্প হয় পুরনো,
তবুও তার কথা মনে পড়ে অবচেতনে, গোপন স্বর্ণখনি খননো।
আজো কোনো শিশু যখন ঘুমায় মায়ের কোলে,
রাজকন্যা ফিরে আসে তার স্বপ্নের টোলে।
সে বলে—
“জগতটা কঠিন, তবে হৃদয় যদি সাদা,
তবে তুমিও হতে পারো স্বপ্নরাজ্যের আদা।
ভালো থেকো, মায়ের মতো দিও স্নেহ-ছায়া,
কারণ পৃথিবীটা বদলায়, যদি মায়া না যায়া।”
“ভালোবাসা মানে যুদ্ধ নয়, ক্ষমার বিজয়”
“স্বপ্ন মানে — যুদ্ধে হাসি, আলোয় জয়ের ক্ষয়”