একটি খাতার পাতা খুললে,
দেখি— কিছু লেখা নেই।
তবু কেন জানি, চোখের নিচে
নেমে আসে এক কাব্যছায়া অচেনা-অপরিচিত।
হয়তো কেউ কিছু লেখেনি,
তবুও কেমন যেনো অনুভব হয়—
শব্দেরা এ পাতায় ছিল একদিন,
এখন শুধু রয়ে গেছে স্পর্শ
এক মেয়ে ছিল— চুপচাপ,লিখতো না কিছুই,
তবুও প্রতিটি নিঃশ্বাসে বাজতো
একটি অদৃশ্য কবিতা,,,,,সে বলতো—
“সব শব্দ কালি দিয়ে লেখা যায় না, কিছু শব্দ শূন্যতায় জন্মায়।চোখে দেখা যায় না, কিন্তু হৃদয়ে বাজে।”
রাত্রির বুকে সে রাখত ফাঁকা চিঠি,
যেখানে লেখা হতো তার অভিমান,
একটা খালি পৃষ্ঠার মধ্যেও
ভালোবাসা থাকতো জমা।
তোমাকে ভালোবাসা মানে—কিছু না বলেও সব বলা,
যেন ফাঁকা পাতার ভিতরে গোপন একটা কবিতা।”
আমি গুনে দেখলাম তার সব চিঠি—
কোনোটাই লেখা ছিল না।
তবুও প্রতিটায় ছিল—তার নীরব চোখের ভাষা,
তার অজানা প্রতীক্ষা,
আর আমার বলা না-বলা ভালোবাসা।
গভীর কথা উচ্চারিত হয় না,—শুধু অনুভূতির ছায়ায় বাজে।
আর যাদের লেখা নেই, তারাই বেঁচে থাকে
পাঠকের হৃদয়ের গহীনে।”
আজো আমি হাতে রাখি একটি শূন্য খাতা।
যেখানে কেউ কিছু লেখেনি,
তবু তার স্পর্শে পাতাগুলো কাঁপে—
“শব্দহীন কবিতাও কথা বলে,
যদি পাঠক হৃদয় দিয়ে পড়ে।”