শূন্যের বুকেই তো বাঁধা আশার নীড়,
নিঃশব্দের ঢেউয়ে বাজে শত গল্পের বীণ।
চোখের জলেও আছে অজস্র আকাশ,
হারানোর মাঝেই জমে উঠে নতুন ইতিহাস।
জীবনের প্রতিটা ছায়া, প্রতিটা আলো,
শূন্যর কোল থেকে জন্ম নেয় ধীর, দগ্ধ ভালোবাসায়।
ভাঙা খেয়াল, ফাঁকা চিঠি, ছেঁড়া ডানায়,
আমরা তবু স্বপ্ন আঁকি, তবু উড়ি নীল আকাশে।
শূন্যের মতো বিশাল হয়ে থাকি আমি,
ভেতরে ভেতরে জন্মায় আলো আর অন্ধকারের যুদ্ধ।
ভাঙা স্বপ্নের মাটিতেই তো ফোটে সাহসী ফুল,
হেরে যাওয়ার পরে যে হাসে, সে-ই সত্যিকারের ভুল।
"হৃদয়ের ভাঙা দরজায় যে প্রথম করাঘাত করে,
তার হাতেই লেখা থাকে ভবিষ্যতের সব গান।"
এক মুঠো শূন্যই শেখায় চাওয়ারও ছন্দ,
শূন্যের গভীরে হারিয়েই খুঁজে পাই জীবনের গন্ধ।
চাইলেই পারি গড়ে তুলতে আকাশেরও সেতু,
কেননা শূন্য ছাড়া নেই কোনো সৃষ্টির পথচলা শুরু।
হাত ছুঁয়ে দেখি — শূন্য;
কিন্তু তাতে কি নেই অনন্ত সম্ভাবনার রং?
অস্পর্শের সেই দেশে,
আমি বারবার নতুন করে বাঁচি, নতুন করে মরি।
শূন্যের ভেতরে লুকিয়ে আছে হাজারো ভাষা,
নিভে যাওয়া আগুনও বলে — "আমি আবার জ্বলবো।"
নীরবতার প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখি,
শূন্যর মাঝেই সব… আর তার মাঝেই আমি হারিয়ে যাই।
"যা কিছু নেই, সেই তো আসল সমুদ্র;
যা কিছু হারাই, তাই তো চিরকাল আমাদের হয়।"
চোখ বুজে অনুভব করি—
না থাকার মাঝেই জন্ম নেয় থাকা,
হারানোর পথেই দাঁড়িয়ে থাকে ফেরার ইচ্ছা।
আর তাই,
যখন সব ফুরিয়ে যায়, হাসি বন্ধ হয়,
তখনও শূন্য হাত ধরে বলে—
"চল, আবার শুরু করি..."