দুর্জয় করিয়া সূর্য, আমি চঞ্চল
ঘূর্ণি বাতাসের অঞ্চল
আকাশ বাঁধিয়া বক্ষে !
অভয়ে-নাচিয়া, মাথায় করে বিশ্ব
চক্ষে অক্ষয় দৃশ্য।
সৃষ্ট মানুষ-মানহুশ, মানবতা
ভেঙ্গে-মারিয়া দানবতা।
আমি রুক্ষ মানব ছেদিয়া
শির নত নাহি করিয়া
করুণ দর্শন চড়িয়া
    মন্তরে দিব ঠাই।
আমি মম আলোর দোয়ারে
বারবার কাঁদি, দুঃখি মানবের তরে।


মলয় মিশিয়া দলয়
আমি অদৃশ্য বলয়
চুম্বন করিয়া মৃত্তিকা
নিঃশ্বাস চলে বাঁকা
আঁধারে কুপি জ্বালিয়া
শয়তানদের মুখ দেখিয়া
রক্ত চোখ, আমি ধ্বংস করি।
বারবার যুদ্ধে মাতিয়া উঠি
চিৎকারহীনে নিরব বাতি
শত প্রাণ নিয়াছি
আমি একা, তরবারি দার রাথি।


আয় কঠিন হৃদয়!
কাঁদিয়া নিজ সাজে সদয়
আমি বিদায় বলে
আকাশ বাঁধে বক্ষে
দুঃখী মানবের তরে_  
        মরিবার চাই।
রক্ত কণিকা অক্ষয়ে-অভয় ৷৷  
আমি যুদ্ধ করেছি
শয়তানদের সাথে
রুক্ষ দানবের তরে-ঘরে
থু-থু ফেলেছি বারংবার।


বিশ্ব কাঁপিয়া উঠে নিঃশ্বাসে
তপ্ত করিয়া মাটি, জানান-নাশে
অমানুষের হৃদয় করিয়া সিদ্ধ
অবিনাশি হৃদম যুদ্ধ
কর্দম বাঁধিয়া অবিরাম
চরণ দাবিয়া উঠে হর্সর_
বর্ষ চলিয়া আজ চরম হিংস্র
মানবতার পায়ে তালা রুদ্ধ
জ্বলিয়া মানব তর সদয় মত্ত।
কাঁদে ফুল-পল্লব আঁখি
নরম নিঃশ্বাসে আগুন জ্বলে-অবিরাম
                    আমি বিশ্ব
আমি করুণ, দানবতার যম।


জঞ্জাল ঘেরিয়া পুষ্প দল
উজ্জ্বল-সূর্য,  ধরনি স্বচ্ছল
চন্দ্রদেবীর দুপিঠে হাঁটতে চাই
মানুষ-মানহুঁশ হয়ে যাই
আঁধার-আলোর ঘরনী
            ধরণী-বরনী_
আমি রমণীর কবরী,
মানুষ-মানহুঁশের আদরী,
আমি হতে চাই মাটি
বক্ষে বাঁধিয়া ঘ্রাণ আঁটি
             মানুষ খাঁটি_
সত্য মানুষ হওয়া বহু বাঁকি
আঁধারে যুদ্ধ করে_
অমানুষের সাথে আজ
মানবতার হাত ধরে,
কাঁদি দুঃখী মানবের তরে-ঘরে।