ভীবিষিকার সংঘর্ষে সংবিধানের পাতা
বিমর্ষ মুখের কামড়ে অক্ষর ঝরে, পাতা পুড়ে
চিৎকার করে ডাকে বাংলার মানচিত্র, পতাকা।
হঠাৎ বাবা, মা আর বোন শিউরে উঠে
ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে
আবার করুণ চোখে দুখী ভাইয়ে কেঁদে উঠে
বোনের থেঁতলানো ধর্ষিতা শরীর দেখে।
শোন তোমরা এই বাংলা আমার না
চিৎকার করে বলছি শোন তোমরা
এই বাংল আমার না, আমার না
আমার বাংলা শেখ মুজিব, জিয়া
রফিক, জাব্বার, সালাম, ত্রিশ লক্ষশহীদ।


যে বাংলায় চিকিৎসার অভাবে মায়ের মৃত্যু হয়
যে বাংলায় স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে মারে
যে বাংলায় সন্তানের সামনে বাবাকে গুলী করে
যে বাংলায় ভাইকে হুমকি দেয় বোনকে ধর্ষণ করবে
যে বাংলায় মানুষ মানুষের মাংস কামড়ায়
যে বাংলায় মানুষের সামনে মানুষ মারে,
সবাই কানা, বোবা, কালা, বিকলাঙ্গ, পতিবন্ধী,
শোন তোমরা সে বাংলা আমার না, আমার না।
আমার বাংলা বাহান্ন, ঊনষাট, একাত্তর,
শেরে বাংলা, ভাসানী, ফজলুল হক, তাজউদ্দীন।


যে বাংলায় প্রভাতে পাখির গানে ঘুম ভাংতো
আজ আর প্রভাতে গান শুনি না, গানের বদলে
মানুষ কোপানের চিৎকার শুনি, শুনি আর্তনাদ
বেওয়ারিশ লাশের সংবাদ শুনি, শুনি দীর্ঘশ্বাস।
মানুষ কুকুর হয়ে উঠছে, কাকে কামড়াবে
যে কয়জন মানুষ আছে হুমড়ি দিয়ে কামড়ে খায়
মাংসের স্বাদে অমানুষ গুলো লালা ঝরাচ্ছে
এত স্বাদ এত স্বাদ শুধু মানুষের মাংস খাবে।
শোন তোমরা শোন বর্বর, তোমরা মানুষ নহে
তোমরা সবুজ শ্যামল বাংলা নহে, বাংলার নহে।