আকাশের ওপাড়ে সুখ- স্বর্গ !
এপাড়ে দুঃখ-নরক ?
আমি- আমার মত কত জন ভাবে !
এপাড়ে মেঘ জমে;
আকাশ থমকে- নীরবে,  
পাখিরা উড়ে ভয়ে-ভয়ে
রক্তাক্ত ডানা মেলেনা বাতাসে ।
ঝড়ে পড়েছে পাতা-ঘাস
মাটি ধূসর হয়ে ফসল ছাই হয়ে গেছে !
মানুষ লাল চোখে সূর্যের মুখে চেয়ে আছে-  
অন্য নজরে ।  


উঁচু-উঁচু দালান নুয়ে আছে মানুষের মাথায়-  
কালো চোখে;
কাক ডাকে শুঁকনো নারিকেল গাছে বসে
তপ্ত রোদের দহনে;
এখন আর চোখের জল আসে না-  
নিজেই চুষে নিয়েছে সব
শুঁকিয়ে মরুভূমির প্রান্তর হয়ে আছে,  
ঘুম আসে না- ক্লান্তির আবছা তন্দ্রা ।


এপাড়ে সুখ নেই- অসুখ !
দুরের ঘর গুলোতে কয়েকটি বাতি জ্বলে
শিশুদের খেলার শব্দ শুনা যায়,  
ওরা এখনও হাসে- সুখে,  
বৃষ্টির গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়
চোখে-মুখে আদর মাখে;  
কোলে পুতুলের সাজ, লাল শাড়ীতে-
ওরা নিষ্পাপ বৃক্ষের মত ।


এক দিন পৃথিবী ঘুমিয়ে যাবে
সে দিন অন্য পৃথিবীতে আমাদের বাস হবে
স্বর্গ- নরক দু'টি শহরে ।
পৃথিবীর বুক ছিরে পাখিরা চলে যাবে
ওদের আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না,  
ওরা নিরুদেশ হয়ে যাবে
ঘুমিয়ে যাবে চিরতরে । ,


এপাড়ে সুখ নেই, মানুষ বলে ?
সুখ কেনাবেচার মানুষ গুলি দুখ বুঝে না,  
সহসায় দিন গুণে-গুণে সরল মানুষ সাদামাটা;
ওপাড়ের সুখ অর্জনে কত মানুষ ?
দুখের বসতে উড়ায় ফানুস ।
ওপাড়ের সুখ কত জনার লাগি ?
এপাড়ে সুখ-অসুখ সমসাময়িক
দিন শেষে কিছু নেই;
এক দিন আমি- আমরা ঘুমিয়ে যাব পৃথিবীর তরে
আর পৃথিবীর আলো চোখে আসিবেনা ফিরে ।
এক দিন পৃথিবীও ঘুমিয়ে যাবে
সব ধ্বংস করে;
সে দিন কিয়ামত হবে
ধংস লীলা- তামাম পৃথিবীর মরন
সে দিন ঘুমিয়ে যাবে সবাই
সুখ-অসুখের মানুষ গুলি;
ফিরে যাবে অন্য পৃথিবীতে
স্বর্গ-নরক দু'টি শহরে ।