গ্রাম্য উঠোনে-উঠোনে ছড়ানো-ছিটানো সোনার ধান
গ্রাম্য বধু-রমনীর পায়ে-পায়ে নূপুরের তালে-তালে
ধানের বাজনা বাজে; সাজে; নববধু অন্য গাঁয়ে;
কেউ ধান ঝাড়ে, কেউ ধান সিদ্ধ করে খেজুর গাছের নিচে।
নাজুর ডাকে সাজু আসে মাথায় করে ধান
উঠোনে-উঠোনে ছিটিয়ে দিল, ধানের কাঁড়ি বান।
হাওয়ায়-হাওয়ায় বেসে আসে রেহেনার মুখে গান  
দক্ষিন কোনে মেঘ ধরেছে হাউড়া ধরে টান!
সিমুর হাতে ঝাড়ু নাচে, মেঘ চলে যা ঘাটে
উঠোনেতে ধান দিয়েছে বাড়ির সবাই বাটে।
মজিব ডাকে মেঘ ধরেছে! বৃষ্টি আয়রে ঝেপে!
শাহিন, শাহনাজ, তিন্নি মিলে পানিতে দিল চেপে!


সোনার ধান শুঁকাতে কত কষ্ট দিল মারে!
রশিদার মায়ের ঘাড় বেঁকে যায় সোনার ধানের ভারে।
হাওয়া কাঁদে, আকাশ ডাকে, উঠোনেতে ধান
খোঁদা তুমি বৃষ্টি দিওনা, মেঘের মায়েরে দিব পান।
সূর্য হাসে, মাটি তাপে, রৌদ্র ত্রাসে-ত্রাসে
মেঘেরা সব দূর আকাশে ঘুরছে পাহাড় ঘেঁষে।
সোনার ধান শুঁকিয়ে গেলো রোদ্র মেখে-মেখে
সবার মুখে হাসি ফুটে মনের সুখে-সুখে।