কবি এসেছিলেন কবিতা নিয়ে, এই বাংলায়_
গ্রাম্য রূপে, যুদ্ধা হয়ে, প্রেম নব প্রেম নিয়ে।
সরিষাবাড়ী, সবুজ বন, হলুদ পাখির গায়ে,  
ঘাস, পাখি, মাটি, ফুল, ভালোবাসা নিয়ে।
কবির চোখেছিলো মায়া, আদর, যত্ন, বিশ্বাস_
আশা, আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ, সুখ, দীর্ঘশ্বাস।
কবি দেখেছিলেন স্বপ্ন, লিখেছিলেন কবিতা_
নদীর পাড়ে বসে এঁকেছিলেন প্রকৃতির ছবিটা।
পাখিরা উড়ে ছিলো মধ্য সাদা নীল আকাশে_
সবুজ রঙ মেখে কবির মনে নরম বাতাসে।
ঘাসে শুয়ে চোখে স্বপ্ন মেখেছিলো রংধনু_
বিকেলের হলুদ আলো নেমেছিলো বিস্তৃত জানু।
কবি—কবিতায় লিখেছিলেন ভোরের বাতাসে_
মৃত্যু আসুক শুক্র বারের শান্ত শুভ্র আবাসে।
কবি এই সোনার বাংলায়, মাটির তরে রবে শুয়ে_
মানুষের মনে সবুজ পাতায় পাতায় ক্লান্ত ধুয়ে।


কবি সোনালী কাবিনে লিখেছিলেন প্রকৃতি_
কানা মামুদের উড়ালকাব্য, ছড়া—কাব্য প্রবৃত্তি।
কবি নেমেছিলেন অন্ধকারে আলো নিয়ে সুখে_
দুঃখি মানবের আলোয় নরম ঘাস দিয়েছিল চোখে।
কবি মাটির ঘ্রাণ নিয়েছিলো নিঃশ্বাস গভীরে টেনে_
নদীর পাড়ে বসে একলা মনে পাখির গান শুনে।
কবি হেসেছিলো সূর্যের মুখে, সোনালী রৌদ্র গায়ে_
নয়নে নয়ন রেখেছিলো কৃষিকের রূপলী পায়ে।
কবি মৃত্যুর কোলে ঘুমিয়ে ছিলো কত দিন ধরে_
মৃত্যুর সাথে হেসেছিল ঘাস, ফুল, মেখে অন্তরে।
আজ কবি ঘুমিয়ে রয়েছে মাটির মধ্য কোলে
সারা গায়ে ঘাসের আবরণ পাখিরা কাঁদে দুলে।
কবি মায়া দিয়ে কাঁদিয়ে গেলো শত শত চোখে_
উড়াল দিলো পাখির ডানায়, রয়েছে সবার বুকে।



রচনা,  কিডনি হাসপাতালে বসে।