তোমাদের শহরে কামুড়ের দাগ গুলো কি ভাবে
উঠাবে? যেখানে শত শত নারীর শরীরে কামুড়।
মাটিতে, ক্ষেতে, ভাতে, সব খানে, শহর জুড়ে!
বিমর্ষ মুখ হা করে আছে বিশাক্ত দাঁত দেখিয়ে
এখনও নির্গত হয় বিষ! বিষ বাতাসে উড়ে_
বিকলাঙ্গ হয় প্রাণী, সব গুলো শরীর রক্ত ক্ষয়ে।
তোমাদের শহরে কামুড়ের দাগ গুলো স্পষ্ট
উনিশ শতকের দাগ গুলো এখনও মোছা যায়নি
নারীর শরীরে নির্যাতনের দাগ, কৃষকের শরীরে,
যোদ্ধার শরীরে, নেতাদের বিদ্রোহী বাণীতে।
এখনও কামুড়ের দাগ লেগে আছে—চোখে
মুখে, পেটে, স্তনে, মাটিতে, শ্রমিকের শরীরে।


তোমাদের শহরে কামুড়ের দাগ মুছা যায়না
পুরনো ক্ষ্যাপা টেনে টেনে নরপিশাচরা বিজ
রোপণ করে! অমানুষের। উনিশ শতকের
বিষ দাঁতের অমানুষ গুলো এখনও চোখ মেলে আছে_
হা করে থাকে মানুষ দেখে! গিলে গিলে খাবে?
হাড় চিবিয়ে রক্ত—মগজ, মাটি থেকে রস খাবে।
তোমাদের শহরে বিমর্ষ মুখে লালা এখনও ঝরে
লালায় রক্ত আর মগজ মিশ্রিত গন্ধ আসে
দূর থেকে বাতাসে ভেসে আসা গন্ধ নাকে লাগে
সব বিকলাঙ্গ, নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, কবরে।
মাংস পোড়ার গন্ধ আসে উনিশ শতকের
এখন মাংস পোড়ায়, কালো অন্ধকারে।


তোমাদের শহরে এখনও রক্ত চুষা রক্ত চুষে
কামুড়ের দাগ গুলো স্পষ্ট লেগে আছে শরীরে
নির্যাতিত মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ঘুমে_
বিষের গন্ধে নিহত—আহত, চোখ নেই ঘরে।
মাটিতে কেউ, কেউ জ্যান্ত—মৃত, ক্ষত শরীরে
কামুড়ের দাগ লেগে আছে পেটে, স্তনে।
তোমাদের শহরে কামুড়ে দাগে রক্তের চাকা
জমে আছে নিঃশ্বাস, পোড়া মাংসের চক আঁকা
যেনো: বরবর গুহা বাসিন্দাদের চক্র
উনিশ শতকের বীজ এখনও গজায়।
মাটি থেকে রস কামড়ায়, শরীর থেকে রক্ত
মাংস, মগজ, কলিজা, হাড়, নারীর স্তন।