কোনো এক ভোরে কুয়াশা মাখা সরষা ক্ষেতে
আমায় দেখিবে ভ্রমরা রূপে; সেদিন তুমি আমার না
সে দিন তুমি মাখামাখি করিবে অন্যের শরীরে_
ভোরে স্নান করিবে লাল শাড়ি খুলে উলঙ্গ হয়ে।


আমি আসিবো কাক ডাকা দুপুরে তোমার কাছে
তোমার ঘামে ভেজা শরীর অন্যের হাতে মুছিবে
সাদা সাদা ঘাস দুধ পড়িবে হাতে_
অন্যের হাতে; আমি তখন চোখ ভুজে থাকিবো।


আমি আসিবো গোধুলী মাখা বিকেলে পাখি হয়ে
তুমি অন্যের হাত ধরে হাঁটিবে পথে পথে_
চুমু দিবে অন্যের ঠোঁটে, গালে, সব খানে
যে শরীরে আমার হাত কখনও পড়েনি, ছুঁয়ে দেখিনি।


আমি আসিবো তোমায় দেখবো বলে নিশিতে
তুমি অন্যের কোলে মাখামাখি করিতেছ_
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস মিশিয়ে, শরীরে শরীর ঢুকিয়ে
আমি চোখ ভুজে থাকিবো কত, কত ফিরে যাবো।


আমি আসিবো তোমায় দেখতে পুরনো প্রেম হয়ে
তুমি সব ভুলে আছ, নষ্ট হয়ে, নষ্টের শরীরে_
প্রেমের নষ্টামিতে নিজেকে অন্যের কাছে বিক্রি কর
সব কিছু ভুলে, আমার শরীর, প্রেমের শরীরে।


আমি আসিবো মধ্য রাতে, তোমার ঘুম চোখে_
তুমি ঘুম নিয়ে শুয়ে আছ অন্যের শরীর জড়িয়ে
ভেজা ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে রেখেছ অন্যের ঠোঁটে,
বিছানা কামড়ে আছে নষ্টামির লালসা মুড়িয়ে।


আমি কত কাল দেখিবো তোমায়—তোমার শরীর
অন্যের শরীরে; স্তনে অন্যে মুখ, লিঙ্গ চুষো_
শরীরে কামনার রস ঝরিতেছে অন্যের জিহ্বায়
তুমি কত সুখি আমাকে ছাড়া, অন্যের শরীরে?


আমি আর আসিবো না তোমায় দেখবো বলে!
তুমি তোমার মত করে তোমাকে মিলিয়ে দেও_
অন্যের শরীরে; আমার আত্মা আজ থেকে মরে রবে
ঝরে রবে চোখ, দেহে থাকিবে না ভালোবাসা।