কবিতা


     "প্রিয় ভাই"


    ★১ম পর্ব★
    
"বাস্তবতার সংক্ষিপ্ত রুপ"


জীবন যেখানে যুদ্ধের ময়দান
যে যার মত চলে,
নিজের কর্ম নিজেই করি;
তবু! মানুষ কত কি বলে।


তকদীরে যা ছিলনা লেখা,
কি করে বল পাবো?
লক্ষ যদি সঠিক থাকে;
পৌছে ঠিকই যাবো।


কর্মে যখন পদার্পণ করলাম,
অনেকেই হারিয়ে গেছে,
ত্যাগে সুখ তো পাবোই আমরা;
স্বপ্ন নিয়ে আছি বেঁচে।


    ★২য় পর্ব★
    
"গোপনীয় যা ঘটেছিল"
    
মনে পড়ে সেই ছেলেবেলার কথা,
কত কি যে ঘটেছিল,
পাখির বাসাতে ডিম না থাকায়;
সেদিন ঝগড়া বেঁধেছিল।
বিচার চেয়েছি ওর বাবার কাছে,
পাইনি তেমন সাড়া।
ভয়ে আর ও আসতোনা সামনে;
হয়েছিল দিশেহারা।


মনে পড়ে সেই পেয়ারার কথা?
নিশি রাতে যা খেতাম,
লবন সাথে নিয়ে সাহসিকতায়;
আমরা বাগানে ঢুকে যেতাম?
সফল ভাবে পেয়ারা খেয়ে,
খেতে হতো না আর ভাত,
পেয়ারা ছাড়া ফাঁকা থাকতোনা;
আমাদের দুই হাত।


লাল লাল ঐ জামবুড়া গুলো,
কিভাবে ঝুলিয়ে থাকতো?
মনে হয় তা অতি তাড়াতাড়ি;
আমাদের খাবার জন্যই পাঁকতো।
পকেটে করে নিয়েছিলাম কিছু,
ভেবেছিলাম বাড়ি নিয়ে যাব,
কখনো ভাবিনি মায়ের কাছে;
ঐ জন্য বকা খাবো।


আমের বা দোষ কি ছিল?
বাড়িওয়ালা পারতোনা খেতে,
ঝুলন্ত সব মিষ্টি আমগুলো;
যেত আমাদের পেটে।
মাঠের যে সব গাছ গুলোতে,
ধরতো মিষ্টি আম,
দল বেঁধে সব মারতো ঢিল;
পড়তো ধমা-ধাম।


লিচুর কথা না বললেই নয়,
বেচারা ছিল অসহায়,
বুড়ির কথা তার এত লিচু;
কার পেটে যায়?
সত্যিই এসব মজার ছিল,
আমরা ভুলতে পাবোনা,
স্মৃতির পাতায় রেখে দিলাম;
কখনো কোথাও হারবো না।


আলুর ক্ষেতের আলু যখন,
পুড়িয়ে খেতে যেতাম,
খড়ের জন্য আঁটির দরকার;
তোর কাছ থেকে পেতাম।
চুপি চুপি সেই আলু পুড়তাম,
বাহানা ছিল শীত,
চুরি করা সেই আলু খেয়ে;
শরীর রাখতাম হিট।


মিজানুর দাদার সেই বাদাম গাছে,
দিতাম আমরা হামলা,
মনে পড়ে তোদের বাড়ির পেছনে;
বসে পড়তাম নিয়ে গামলা।
পরের দিন সেই বাদামের জন্য,
নাইম সেখানে যেত,
বাদামের ঐ খোসা গুলো সব;
আস্ত খুঁজে পেত।
তার পর যা হইলো রে ভাই,
হয়তো মনে আছে,
আমরা সত্যি বলে ফেলায়;
নারগিস আপা চিন্তা মুক্ত বাঁচে।


    ★৩য় পর্ব★


"মনে পড়ে যা"


ছোট বেলার সেই দুষ্ট সাথীরা,
কোথায় যে গেছে হারিয়ে?
নেই কারো খোঁজ আগের মত;
পাইনা দু-হাত বাড়িয়ে।


মাঝে মাঝে কেউ দেয় দেখা,
হঠাৎ কোন এক দিন,
অল্প কথাতে গেঁথে যায় হৃদয়ে;
শোধ হবেনা ঋণ।


স্বরণে রেখে মাস শেষে তাই,
তোর কথা মনে পড়ে,
ইচ্ছেরা তো দিবেই উড়াল;
দেখতে বায়না ধরে।


    ★৪র্থ পর্ব★
    
"পর্যায়ক্রমে যখন তুই"


বাল্য কালের বন্ধু সে যে,
সবার মত নয়,
প্রতি পদক্ষেপে ভালোবাসা তার;
মনটা করেছে জয়।


সত্যি বলতে এই ভালোবাসার,
যোগ্য সবাই হয়না।
হৃদয় আমার ছুটে যেতে চায়;
দূরত্ব আর সয়না।


কি বলবো!  ভাষা পাইনা,
করি তোকে নিয়ে গর্ব।
হাজারো কথা অব্যক্ত আছে;
লিখে শেষ হবেনা পর্ব।


প্রিয় ভাই!  আলহামদুলিল্লাহ!
পেয়েছি তোকে পাশে।
শত ব্যস্তর মাঝে কথা হয়;
অন্তর টুকু ও হাসে।


সবার কপালে জোটেনা এমন,
তোর মত প্রিয় ভাই।
সত্যি বলছি! তোকে ভালোবেসে;
যেন স্বর্গীয় সুখ পাই।


তোর মত আর কেউ হবেনা,
আসবেনা এই জীবনে।
কত আপন যে পর হয়ে যায়;
ভাবি তোকে ক্ষণে ক্ষণে।


আজ বাস্তবতার আড়ালে যখন,
তোর মত কেউ থাকে,
হৃদয় তো আর যাকে তাকে নয়;
এখন তোর ছবি আঁকে।


সমাজে কত ক্বদর তোর,
সকলে সেটা জানে,
আল্লাহ তোকে মিলিয়ে দিয়েছে;
আমার ভালোবাসার টানে।


সম্পর্কটা থাকবে রে ভাই,
আল্লাহ যদি চান,
তোকে স্যালুট জানায় অন্তর থেকে
তোর বৃদ্ধি হউক সম্মান।


উৎসর্গঃ প্রিয় ভাই মোঃ হুমায়ুন আহমেদ (আকাশ) কে।