তুমি চলে যাওয়ার পর নিজের ত্রুটি গুলোই শুধু মনে পরে
বিবেকের ছাঁকনিতে ভুলের অন্ত নেই।
এতো সাধের স্বাধীন ঘরেও কেনো যে পরাধীন লাগতো    
আজ তার কোনই কারণ খুঁজে পাইনা।
কটা বছর, হ্যাঁ মাত্র কটা  বছরেই-
দুজনের মাঝে হাজারো শর্তের পাহাড় খুনসুটি বিবাদের ঝড়।  
তবুও- এক পা, এক পা করে ভালোই তো এগিয়ে চলছিলো
এই ভেবে,- দূর হোক তবু অঙ্কুরিত চাড়া, বৃক্ষের রূপ নেবেই একদিন।  
তার পর ,আহা- তার পরও যে কতো শত স্বপ্নের বীজ বুনেছি দুজনে মিলে      
তার কনো ইয়ত্তা নেই...।
আমার পাশে থাকার অথবা ছুঁয়ে থাকার অকারণ ছুতো খুঁজতে
তোমার ছেলেমানুষি দেখে তখন ভীষণ রাগ হতো
এখন শুন্য বিছানায় শুধুই শোকার্ত হাতছানি ।
তোমার গানের সুর গুলো আজও গুন গুন করি-  
বেসুরে অথবা সুরে,তুমি বোলতে বেশ্ ভালো হয়েছে    
আজ আমার ও তোমার গাওয়া সুরের
কোনো পার্থক্য থাকে কি-না কে জানে হায়- কে ধরবে তার ভুলত্রুটি  
গানের কথাগুলো আজ বিরহ আর সুর হয়েছে কান্না।
এভাবেই চলতে চলতে দুজন  
কখন যে খাঁদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছি বুঝতেই পারিনি
তোমার চোখে নোনা জল তখনও তো ঝোরতো
ছিলো তীব্র কষ্টে তোমার ব্যথা আমাকে বুঝাতে না পারার জালা  
আজ এতো অবেলায় বুঝি কেনো তার দহন ?    
কেবলই দগ্ধো স্মৃতির ভারে নতজানু হয়ে বিরহ নদীর শয্যায়  
ক্লান্তিহীন হাহাকার করে আমার যতো অহংকার।
যে ভূমিতে ছিলো শত স্বপ্নের বীজ , তা আজ স্বপ্ন পোড়ার শ্মশান  
মহাকালের পিঠে সুদূর শূন্যতা ছবি আঁকে অনন্ত বিরহ যাত্রার,
তবু নিস্তার নেই এই বেঁচে থাকার
স্মিতির অন্তরালে আজ শুধুই যে থাকে সে তুমি,  
যেখানে রেখে গেছো আমায়, তার নাম স্মৃতির বধ্যভূমি ।