প্রিয়তমা, তোমাকে দেখেছি যখন
প্রবৃদ্ধ মন সবুজের সাধ পেলো
তিতিক্ষার জল পেলো তৃষিত আত্মা  
এ যেন বিষণ্ণ ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাসে অশ্রুঝরা মুহূর্তেও
আনন্দে মূর্ছা যাওয়ার সুখ ,
আপন পৃথিবী ভুলে আবিষ্ট হলাম তোমাতে
জীবন সীমান্তে দাঁড়িয়েও বিলাসী হাতছানি।  


যার ছিলো না চোরাগলির অধিকার  
রাজপথে জুড়ে দিলে তারে
বন্ধ পৃথিবীর দরজা গেলো খুলে
মুহূর্তেই ফুটলো এক লক্ষ ফুল ত্রি-জাগতিক কানন ফুঁড়ে ,
যেন রোদ্দুর এসে দাঁড়ালো হিমালয়ের শীতল গা ঘেঁষে ।  
তুমি স্পর্ধা দিলে বলেই , পৃথিবীকে সাজালাম  
সতেজ স্পর্শহীন হাজারো উপমার ফুলে
অমাবস্যা চাঁদের টিপ পড়লো আঁধারের কপালে
রাত্রি সাজলো রমণীর বেশে ।  


তোমাকে দেখেছি বলেই বুকের দস্যিপনা গিয়েছে বেড়ে,
প্লাবিত যৌবন দ্বিপ্রহরের বিজন ছায়ায়
জন্ম স্তুতির লালসায় সাহস বেঁচে  উঠলো আরো একবার  
বিনাশন ভুলে ধরা দিলো প্রেম
বাঁচার আকুতি বিধাতার দ্বারে বারংবার শুধু তোমার জন্যেই ।


তোমাকে ছুঁয়েছি বলেই
স্তব্ধ মাটির শরীর উন্মাদনায় উঠলো মেতে  
আজ প্রেমের শিকারি কামনার তীর হাতে নিয়ে ছুটে দীপ্ত অঙ্গিকারে  
তোমাকে পেয়েছি বলেই
জীবিকার সাধ ভুলে হয়েছি সন্ন্যাসী
বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে অনশন ধ্যানে ব্রত
পরজনমে তোমাকে পাওয়ার লোভে
উৎসর্গ হোক হাজারো চন্দন বৃক্ষরাজি ।


ওগো প্রিয়তমা,
দ্বিধান্বিত সুখের অবসান হোক তবে
মৌন সুখের  তীর্য আভাসে স্পন্দন হোক ভালোবাসার
ছড়িয়ে দাও তোমার অপরূপ রূপের মায়া  
অচেনা পৃথিবী ধরা দিক চিরচেনা হয়ে আমার আলিঙ্গনে  
আমি হয়ে রই কালের ঋণী তোমার করতলে ।।