অমরত্বের লোভ আর ক্ষণস্থায়ী জীবনের আশঙ্কাকে পেছনে ফেলে
মানুষ ছুটছে জন্মের অহংকারে আর মিথ্যে রসদের ডানায় ভর করে
উড়ছে সেই আকাশে, যে আকাশে তার কোন ঠিকানা নেই,
সোনার হরিণ ভেবে যাকিছু সে আঁকড়ে ধরতে চায় তা মিথ্যে মরীচিকা
মানুষ বঝেনা তার সীমারেখা, বঝেনা বিধাতার সৃষ্ট এ ভুবনের
কতটুকু মানুষের নাগালে আর কতটুকু এখনও ঢের অগোচরে
সামান্য সৃষ্টির অহংবোধে মাটিতে পরেনা পা অথচ নিজেই সৃষ্ট মাটির
আগ্রাসী ক্ষুধার চাহিদা মেটাতে সময় ঘনিয়ে আসে মাটিতেই ফিরে যাবার,
সময় হয় বাহারি পোশাক খুলে সাদা কাপড় জড়ানোর
পারফিউম নয় কর্পূরের গন্ধ গ্রাস করা কাঠের কফিন বাক্স
দোল দেবে অন্যের কাঁধে, সমুখে পথ খোলা একটাই
হাজারো সৌখিনতায় আর পরিপাটি সাজানো ইমারৎ
জায়গা দেবেনা নিথর শরীরটাকে,সারে তিন হাত মাটির ঘর শেষ ঠিকানা
অমরত্বের দেখা এবার মিলবে নির্ভুল, আর মৃত্যু নেই,
মৃত্যু নেই এর পর জেগে থাকার, মৃত্যু তার পর বোঝাপড়ার ।