এতো যে সহি শত দাবদাহ
কভু আঁখি জল লুকাতে নারি  
সে আসে বারে আকুলো পিয়াসে
মনোরঞ্জন বাসনায়
মরীচিকা হায় স্বপনেরে ধাঁয়  
সঞ্চিত ব্যথা উত্তরী বাঁয়
সুখ সঙ্কটে ফিরে নাহি পায়
সখীর পরশ খানি ।  
আঁধার মঞ্চে বারে আশা সাজে
বিবাগী হৃদয় মন নাহি কাজে
এই বুঝি সে কহিবে ডাকিয়া        
তৃষাতুর চোখে কণ্ঠ হাকিয়া
কেমনে সহিছো পঙ্কিল দান ?  
মোর লাগি কেন এতো অভিমান ?  
ক্ষমা কর হে প্রেমময়ী প্রাণ  
আপন কুণ্ঠা ভুলিয়া,  
রহিব দুজন একই সুরে বাঁধা
স্বর্গ সুখে প্রেম প্রীত সাধা  
জপিব জীবন যাহা আছে বাকী
কামনা প্রদীপ জ্বালিয়া ।