হাজার সব আক্রোশ বুকে চেপে যারা হেঁটে যায় অন্ধকারে    
তারা অজস্র পূর্ণিমা পায়ে মাড়িয়ে রপ্ত করছে বেঁচে থাকা।
যে ছেলেটা প্রতি দিন চাকরি খোঁজে পীচ ঢালা পথ পায়ে গোলীয়ে
বাকযন্ত্রের কান্না গিলে খায় ব্যর্থতার খুধায়, সে জানে  
তাকে জানতেই হয়,অন্ধকার আত্মর ভূগোল ।
যে মা, সন্তানের খুধা মেটাতে বিক্রি করে শরীর  
যে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা যৌতুক খঞ্জর গুঁতোয় ক্ষতবিক্ষত
ভোজসভার উচ্ছিষ্টে যে শিশু প্রাতভোজোন সারে  
তার অভিশাপে কি আসেযায়, দামী বেশবিন্যাসের দম্ভে।
বিশ্বায়নের ময়দানে মানবতা এখন শুধুই অসংযত প্রলাপ  
অন্তঃসারশূন্য মানব হৃদয় আর মিথ্যে মুখোশের আড়ালে
নাটক চলে বিরতিহীন,সিনেট নামের রঙ্গমঞ্চে  
মুচকি হাসে ইবলিস সয়তান,নিশ্চিন্ত,পরিত্তিপ্ত সে আজ ,  
আফসোস, ভালোবাসার গালিচায় অবহেলিত এখনও
অনেক অনাঘ্রাত ফুল, যা শুকীয়ে যায় দিনান্তে
অথচ, কথাছিলো না এমন, কথা ছিলো না এভাবে  
বৈষম্যের আগুনেই জ্বলবে অধিক প্রাণ
তবু বেঁচে থাকতেই হয় আষাঢ়ে গল্প কল্পনায়
আকাঙ্ক্ষার ধানক্ষেতে জল-কণিকার লোভে
দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, এভাবেই ।