বুদ্ধির অতল স্পর্শে ছুঁয়ে দেখেছি সব রঙরে বেঁচে থাকা
জীবনের গুহ্য লিপি হাতড়ে মরছি অবুঝ অভিধানে
নিয়তির নিশ্ছিদ্র জালে গোঙায় অসহায় মানবাত্মার প্রেত
দেহের দাহ চলছে সময়ের চিতায়,কাকতাড়ুয়ার বেসে,
হৃদপিণ্ডের সুখের ফলন্ত বীজ ভ্রষ্ট হয় তারই সর্পদষ্টে
সলিল স্বপ্নের শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে পলকহীন চেয়ে থাকি উতভ্রান্ত,
কাঁটা সিঞ্চিত পথের এই বেলায়,এই বুঝি অন্তিম চারণ
অথচ মরীচিকার ভ্রম নন্দনের বৃত্তে মিছরির মৎস্য কন্যা
গৌরবে গর্ভধারণ করে আছে হতাশার রাক্ষস শাবকদের,
বিষণ্ণতার প্রজাপতি ক্লান্ত ভীষণ,মধুর উপোষ ভাঙ্গবে কিসে?
মৃত পৃথিবীর এই ভালোবাসার কোন শ্মশানে ফুটবে এমন জুঁই ?
আকাঙ্ক্ষার মই ছুঁয়ে আছে আকাশের বাস্তু,অতৃপ্তির ঘুণ আছে ব্যস্ত
দূষণ ইন্ধনে ঠাঁসা সর্বনাশের তির্যক চোখ নগ্ন তল্লাশে ন্যস্ত
পালাবে কোথায় ?কোন সীমারেখায় আছে তোমার তাবৎ শান্তির নিয়ামক ?
বয়সের টাট্টুঘোড়া লাগামহীন,নিঃশব্দ ছুটছে অলক্ষণে বিলক্ষণ
মানুষ শুধুই অথৈ নিতলে স্থবির এক কাষ্ঠের পুত্তলিকা সম ।