তার চোখে চোখ পরতেই-  
বুকের নিথর সাগরে বয়ে গেছে অচেনা অস্থির প্লাবন  
মুহূর্তেই রক্তের অণুতে বেজে উঠেছে উন্মাদ দামামা এক
এ যেন প্রেমো বর্ষার পূর্বে বাতাসে মেতেছে আতর বাজি    
ঘ্রাণের স্পর্ধায় মুখরিত হ্রদয়ের অলি-গলি আর রাজপথ      
কল্পনায়,তার চরণ তলে বিছিয়ে রাখি কৃষ্ণচূড়া,পলাশ পাপড়ি          
চেয়ে দেখি,পা মাড়িয়ে যাওয়া হাজার রঙ আলতার চিত্রকলা    
দুঃখ ভুলে বাঁচার আবাহন বিধাতারে,শাশ্বত চিত্ত অবগাহনে  
সে যেন অনেক দিনের চেনা,অনেক কাছের কেউ,আমার  
সে যেন অনেক দিনের অপেক্ষার দিনান্তের প্রাণ ভরে পাওয়া
তার চোখে চেয়ে সগৌরবে বিলিয়ে দেই বুকের সব টুকু জমিন
মেনে নেই ভালোবাসার আনুগত্য নিঃসঙ্কোচে নিরন্তর আশায়    
তার অপ্সরী রূপের স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া নিজেকে জনম জনম
যত দূর যায় নৈবেদ্য প্রাণ যাক,জোয়ার কিম্বা ভাঁটায়।
  
সেই এক দেখার,এক পলক-কে,তুলে রাখি মনের সাহিত্য চূড়ায়    
খুব গোপনে,গহীন বুকের খাঁচায়,মমতায় আজন্ম লালন করি তাঁকে
আমরণ সাজাই নন্দিত সব কথার ফুলে, না পাওয়ার আকণ্ঠ মাশুলেও
যদিও জানে মন সে এক অধরার চাঁদ  ।