যক্ষের ধন একশ টাকা বুক পকেটে
গৌরবের বস্তু সেজে বসে আছে কদিন থেকেই।
পরিধেয় আধোয়া বস্ত্রেই
কল্পনায় নিজেকে পরিপাটি সাহেব ভেবে
সস্তা মেস থেকে সাহেবি কায়দায়  
রাজ পথে যাত্রা শুরু করি
যেন, অনেক কিছুই করার বাঁকি আজ
বাহনের প্রয়োজন নিষ্প্রয়োজন ভবে
চলতে থাকি উদ্দেশ্যহীন
ভাবতে ভাবতে আর হাটতে হাটতে
অনেকটা পথ ফেলে এসেছি পিছনে
মাথার উপর সূর্যের অনধিকার চর্চা
উপেক্ষা কোরে, জীর্ণ সুখতলির ঘাড়ে চেপে  
ছুটছি তো ছুটচ্ছি ...


কদিন আগেই হার মেনেছি ব্যবসার চতুরতায়
এ বাজারে চাকরিও সোনার হরিণ
স্বপ্নেও খুঁজে পাইনা আলাদীনের চেরাগ
মধ্যবিত্ত পরিবার, সুখের জমিন কদাকার
সরিয়ে নিয়েছি নিজেকে সকল চক্ষুশূল অন্তরালে ।
কষ্টে -শিষ্টে যোগার অর্থে, জোটে  
দোকানে ঝুলিয়ে রাখা শুঁখনো রুটি
আর চিতা বাঘ ছোপ নেতিয়ে যাওয়া, কম দামী কলা  
তবুও দৃঢ় বিশ্বাসে বোলতে পারি, হাজবি আল্লাহ্  
বিসমিল্লায় হালাল পানিতে ভিজাই গলা,  
সখের তোলায়,দশ টাকার বাদাম আজ বড় বেশী দামী,
তাই ইচ্ছের গলা টিপে বুক পকেটের অমূল্য একশ টাকা বিনাশে
নিজেকে উৎসাহিত করা নেহাত বদনামই।  
  
হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে আসি পার্কের বেঞ্চে
কালুত্তিন্ন পত্রিকার হাতপাখা,সাদা কাগজ আর কলমে    
নিজেকে ভাবতে থাকি কবি,ভাবনার রাজ্যে মনোনিবেশ  
ভাবনার চূড়ায় অনন্ত অশেষ,গড়ায় রবি।
প্রতিদিনের মতই তেষ্টায় মুখ নত হয়  
মরিচা পরা সরকারী কলের নিচে
আকণ্ঠ পান করি জীবনের দান ,  
প্রচ্ছন্ন চিন্তায়,পেটে ছুঁচোর ডন, আর বুক পকেটে
একশ টাকা মগজে গায় গান
কজন বোঝে ,কজন জানে এমন টান ?  
উপেক্ষা করি চাওয়া, জিত হয় না পূরণের
একশ টাকা থেকে যায়, অভুক্ত পৃথিবীর বুক পকেটে  
খরচের দ্বিধায় এভাবেই বিষণ্ণ সংঘাতে ।