ছেঁড়া মশারীর ভেতর দিয়ে মশাদের অনুপ্রবেশ,
ভনভন কাওয়ালী শুনে পার হয় অস্থির রাত  
ন-টার অফিস ধরতে ভরের সূচনা আলোর সাথে  
শুরু হয় দমের প্রতিযোগিতা প্রতি দিনের মতই,
অস্থির মস্তকেই নাম মাত্র প্রাতভজন মুখে ঠেসে    
জিহ্বার খিলাল করতে করতে ছুট লোকাল বাসের বাদুর হতে,  
ঝুলতে ঝুলতে অবশেষে অফিসের চৌকাঠে কদম্বুছি  
ঊর্ধ্বতন বেপরোয়া চাবুক এড়াতে চটজলদি কাজের মনোযোগ
নইলে গর্জিত তর্জনীর ইশারায় প্রস্থান চিরদীনের    
জমে থাকা কাজের পিছনে ছুটে পার হয় মধ্যাহ্ন
যদিও পাকস্থলীর ক্ষুধার্ত ছুছুন্দর ছুঁচোরা বোঝে না
তবু,বয়ে আনা টিফিন কখনই হয় না অগ্রগণ্য  
বেদনার্ত জীবন বন্দি আছে বাস্তবতার কোন বৃত্তে ?
কোন বাধ্যতার অদৃশ্য অক্টোপাস চেপে আছে টুটি ?  
ক্লান্ত চোখ পরে জানালার দিকে,দেয় ইচ্ছে ভ্রূকুটি  
চার দেয়ালের মাঝে গড়ায় বিকেলের গোধূলি
খোলা আঁকাসকে দীর্ঘশ্বাসের বাক্সে বন্দি করে
জবর্দস্তি মনোযোগী হতে হয় কাগজ কলমে
অফিস শেষে আবার শুরু হয় বাড়ি ফেরার সম্মুখ যুদ্ধ
রক্তের লবণ জল শুষে নেয় বাধ্যতার এমন জীবন,তবু -  
নেতিয়ে যাওয়া শরীরকে এক কাপ চায়ে একটু -  
চাঙ্গা করার মিথ্যে প্ররোচনা দিয়ে পা ছোটে বাসের পিছে,    
ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন হলে মেলে সীট, নইলে ঝুলে থাকা হ্যঙ্গার    
ক্লান্তিতে, বাড়ি ফেরার সকল আনন্দ মূর্ছা যায় ততক্ষণে    
নীরস মন ভাতের পেয়ালায় খোঁজে বাস্তবতার সুখ
পরবর্তী দিনের ম্যারাথন, মগজে শিলাই করে-  
ধীর পায়ে এগিয়ে যাওয়া ঘুম নামের ঘুমে,আপন রুমে  
এইতো জীবন,মেনে নেয়ার মারিজোয়ানায় মত্ত    
মানুষ সাধ ও সাধ্যির কাঁটা-খচিত সীমানায় বন্দী
দিনে দিনে বাঁড়াতে বাধ্য পরাধীনতার অসীম আনুগত্য ।