এসেছে কুয়াশার চাদর মুড়ি
পৌষ পাগল বুড়ি ,
তুলেছে সে এক বৈরাগ্যের সুর
বিচিত্র অনুভুতিতে করতে মন ভরপুর |


শুকনো গাছের পাতা ,শুকনো গাছের ডাল
প্রান পণে সরাইছে সে বিগত বছরের জঞ্জাল
শীতের দিনে 'মেলা' আর নানা 'পার্বণ'
নতুন ছন্দে যেন নেচে ওঠে মন |


নেই এখানে কোনো রৌদ্র তেজ
সর্বত্রই শুধু ঘোর লাগা আমেজ
টুপটাপ ঝড়ে পড়ে সকালের শিশির
গড়ে তোলে ক্ষনিক সম্পর্ক নিবিড় |


সূর্য খেলে পূব আকাশে লুকোচুরি ধূপ ছাও
হালকা রোদের ছোয়াতেই মুক্তো শিশির উধাও
জল শূন্য মেঘ টুকরো দিনের শেষে
পড়ে থাকে আকাশের এক কোণ ঘেঁষে |


হিম হিম হাওয়া বয়ে যায় সুখে
দিয়ে যায় শুষ্কতার আলতো চুমু মুখে
তবুও দেখ নেই কোনো দ্বার বন্ধ
হাওয়ায় যে মিশে আছে ফুলের মোহনীয় গন্ধ |


শীতের সকাল এদেশে নিশ্চুপ
শহরে ও গ্রামে এর ভিন্ন রূপ
শহরে মানুষের মন ভরা উদ্যম
তবুও যেন শীতের স্নিগ্ধতা ওখানে একটু কম |


চোখে লাগিয়ে ঘুমের আবেশ
ব্যস্ত জীবনে ঘটে শীতের প্রবেশ
শহরের ক্রিত্তিমতার নিদারুণ চাপে
শীত পারে না তার পূর্ণ রূপ প্রকাশিতে |


শীতের গ্রাম বাংলা ভেসে ওঠে চোখে
কৃষাণ হাল নিয়ে চলে মেঠো পথে
এখানে শীত উপভোগ হয় আগুনের উত্তাপে
শীতের উল্লাস বাড়ে মনে ,মিষ্টি খেজুর রসে |


অলসতা করে গুম
পল্লী তে পড়ে পিঠা তৈরীর ধুম
শীতের নরম রোদে ভাপা পিঠা খাওয়া
যেন জীবনের হারানো সুখ খুঁজে পাওয়া |


শীতে বিলাসী জীবণ আর উদাসী মন
করে সৌন্দর্যের কতোই না ভাঙন গড়ন !
শীত যেখানে সৌন্দর্যের জাগিয়ে তোলে আশ
সেখানেই দরিদ্রের দারিদ্রতা ফেলে দীর্ঘশ্বাস |


চাওয়াই যাদের স্বভাব
তাদের যে গরম কাপড়ের অভাব
একটুকরো কাপড়ে কান ঢেকে
অনিশ্চয়তায় ওদের জীবন কাটে |


সারারাত খড় কুটো জ্বেলে
করে ওরা শীত ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা
শীতের প্রকোপে জীবন প্রদীপ নিভে গেলে
তবুও কমেনা বেচে থাকার তেস্টা |


একটু সাহায্যেই যদি যায় বেঁচে
কষ্টে থাকা কিছু মানুষের প্রাণ
না হয় এগিয়ে গেলাম যেচে
নিতে মনুষ্যত্বের ঘ্রাণ |