নারী, মহিলা, মেয়ে তিনটি সমার্থক শব্দ বটে।
বিশ্লেষণে তার শত রুপ জোটে।


কখনো সে শৈশব ভুলে পৃত্রালয় করে পর।
কখনো প্রদিপ হাতে অলোকিত করে সে অন‍্যের ঘর।


কখনো সে তৃপ্তি দিয়েছে দেবতা মেনেছে যাকে।
কখনো স্বর্গসুখ দু-পায়ে ঠেলেছে তপ্ত নরকে।


কখনো সে জীবন যুদ্ধে সঙ্গী হয়ে-  দিয়ে যায় প্রেরনা।
কখনো সর্বগ্রাসী চরিত্রে এক ছলনাময়ী লালনা।


কখনো প্রভাতের আলোয় ভাতের পুটলি হাতে একা হার না মানা সৈনিক।
কখনো অমূল্য ইজ্জত জলসায় মেতে সস্তায় বিকিয়েছে দৈনিক।


কখনো সে লক্ষী ঘরে, তার দেবতার স্বপ্নে বাঁচে।
কখনো কামুক পুরুষ মাতায় ময়না অর্ধনগ্ন বাইজি নাচে।


কখনো পৃথিবী করেছে মোহের গোলাম  রুপ শোভা ছড়িয়ে।
কখনো সে শত অবোধ যুবক- বিলীন করেছ বিরহের দাবানলে পুড়িয়ে।


কখনো যে রন্ধন শিল্পী, চুলগুলোও সে যত্নে বাঁধে।
কখনো সে পোড়া হাতের কষ্ট নিয়ে বন্ধ ঘরে নীরভে কাঁদে।


কখনো ভালোবাসা দান লালন করে ধরিয়া জটরে।
কখনো সে সোনা-মানিকগুলো গলা টিপে মারে।


কখনো সে প্রজন্ম আনে মৃত্যু জ্বলা সয়ে।
কখনো সে শান্তি খুঁজে বন্ধা অপবাদ নিয়ে।


কখনো সে সেবিকা হয়ে পরম যত্নে বাঁচায় সদ‍্য শিশুর প্রাণ।
কখনো পরকিয়া স্রোতেভেসে হারিয়েছে অক্ষুন্ন ছিলো যে মান।


কখনো সন্তানের মহান শিক্ষক, সে তো পৃথিবী করেছে অপরুপ।
কখনো সে কৃতদাসী শুধু কর্মে দিয়েছে ডুব।


কখনো  সে মমতাময়ী, যত্নে রাখে কোলে।
কখনো সে দেশনেত্রী চুমু নিচ্ছে গালে।


কখনো সে শূন্য ভাতের হাঁড়ি দেখেও তৃপ্তচোখে হাসে।
কখনো সে রুদ্র বারুদ, ফানা তুলবে বিষে।


কখনো বিশাল নৌকা একাই টানে- ফুরিয়ে গেলেও ধম।
কখনো সে ভীষণ একা, সঙ্গী বৃদ্ধাশ্রম।


কখনো সে শান্তির নীড়, সব রাখে যে ঘিরে।
কখনো সে জনম দুঃখী, ঘুমাই রাস্তায় ধারে।


সব শেষে সেই যে "মা", জান্নাত তার অধীন।
আমি কৃতজ্ঞ ওগো নারী- মহিলা- মা, তোমরা বেঁচে থাকো চিরদিন।