প্রিয় মায়া,


লিখার শুরুতে আমার সিক্ত অনুভূতির আবেশে মিশ্রিত মায়ার পরশ নিও।
আমি আশা না করে বিশ্বাস করি, নিশ্চিয় তুমি ভালো আছো। তোমাকে যে ভালো থাকতেই হবে আমার মায়াগুলো বিকশিত করার জন্য। এছাড়াও আমার অন্তর আত্মা তোমার শুভকামনায় প্রার্থনারত।


পরসমাচার এই যে,
কোন এক গোধূলি লগ্নে কিংবা পূর্ণিমা রাতের উপাখ্যানে আমাদের পরিচয় হয়েছিল। যদিও সামনা সামনি নয়। তবুও তোমার নামটা কাবু করেছিলো আমাকে। মায়া জড়িত নামটি কেবল আকৃষ্ট করেই কান্ত হয়নি। চিত্ত দূর্বল করেছিলো তারচেয়ে বহুগুণ। হঠাৎ হঠাৎ বাতাসে ভাসা বার্তায় কথোপকথন, এক মুহুর্তে চলে যাওয়া, এক মুহুর্তে ফেরা, এক মুহুর্তে নীরব ঠিকি পরক্ষনেই জেরা। আমাকে শুধুই বিমোহিত করতো।


যখন অবচেতন মনে তোমাকে ভাবি তখনই দেখি তুমি আছো দূরনীলিমায়। তবুও কল্পনার পবিত্রতায় বিহঙ্গ রুপে রূপায়িত করি। সুখ তারার সুখগুলো মোহীত করে আমায়।
দোদূল‍্যমান কল্পনার দোলনায় বসিয়ে যখন তোমাকে সামনে বাড়িয়ে দেই- তুমি তো আর ফিরে আসোনা। তবুও বিষন্ন মনে হৃদয় নিংড়ানো সিক্ত মায়াগুলি তোমার কদমে লুটোপুটি খায়।
তোমার হাতে হাত রাখার দুঃসাহসী বাসনা যখন আমাকে আচ্ছন্ন কারে রাখে তুমিতো তখন শুভ্র মেঘের মতোই লুকোচুরি খেলায় ব‍্যাস্ত। তবুও তিক্ততার ভেলায় চড়ে সাগরে ভাসিনি। দেখেছি তোমার রুপ। মেঘের মত তোমার ও কত রং। কখনো কালো, কখনো সাদা, কখনো নীল অারো কত রং। আমার সাথে লুতুফুতু ছলাৎছলাৎ আড়ি, আমার সাথে ন্যানো-পিকোয় চরম বাড়াবাড়ি!
হুম, সত্যি বলছি- তোমার সবগুলো রং এ অামার পছন্দের। তুমি অামার কাছে রহস্যময়ী হয়েই থাকো।


যদিও তোমার সামনে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে দেখিনি কখনো তোমায়। কেবল স্থিরচিত্র দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলাম।
প্রতিচ্ছবি তো বাস্তবতার বাইরে, তাছাড়া এ ছবি যে আমার মনের কল্পনায় এখনো দুয়াশা। এটাই যে বাস্তবে তুমি তা কেবল ঐ বিধাতা জানে। আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। তবুও তুমি সারথির ভ্রমণবিলাসী মায়া, দ্বিধাহীন নক্ষত্রের স্তব্ধ আলো। তুমি শুধু ঝাপসা কল্পনা, না দেখেও তোমাকে বেসেছি ভালো।


জানো??
এ দুচোখে পুড়ে কয়লা হচ্ছে তোমাকে দেখার তৃষ্ণায়।‌ মাঝে মাঝে তোমাকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তোমার আকাশ হই। কোন কালো মেঘের নয়, কোন ঝড়ো হাওয়ার নয়, কেবলই  শুভ্র মেঘের নীল আকাশ।


জানো???
কাব্য-কবিতা, শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিয্য, চারু-কারু-কৃৎ-কৌশল কিংবা প্রযুক্তি- প্রকৌশল কোনোখানেই আমার বিচরণ নেই। মুখের ভাষার অন্তঃপুর থেকে মনের ভাষার অন্তঃপুরে প্রকাশ করেছি তোমাকে কেবলই এক শব্দের মায়াতেই। তোমাকে আমার ভালো লাগে অদৃশ্য।


তোমার নামে যাদু আছে, এটা নয় শুধু শব্দ। সারথি নিজেকে সপে দিয়ে তাই অভিলাষে জব্দ। রজনী তোমাকে ভাবিয়া কাটে, তুমি আমার স্বপ্নেই আবদ্ধ। তারার মেলায় ইন্দু জেগে রয়, অভিমানী মনে যত যুদ্ধ। আমার পঞ্চাশ বর্ণ তোমার কথা কয় যথাসাধ্য, প্রতিটি ভাব উচ্ছ্বাসে তোমার আকুল আরাধ্য।


তুমি আমার হয়ে যাও।


তুমি চাইলেই পারো এই স্বপ্নবিলাশীর স্বপ্নগুলো রং তুলিতে রাঙ্গাতে।
আমায় এক মুঠো উষ্ণ শ্বাস দাও।
হোক হাজার বছরের পুরোনো, হোক ঘুনে ধরা হৃদ কার্নিশে সঞ্চিত। সত্যি বলছি- আমি কোন আবেগের চিহ্ন চাইনা। উষ্ণতায় জেগে উঠুক আকুতি। চুপসানো বিষাদ চাইনা। আমি শুধু ভালোবাসতে চাই। অহেতুক আলতো আদরে না, তোমার পাজরের বাম প্রকোষ্ঠ ছুয়ে।
আমি আমার প্রতিটি সূর্যাস্ত তোমাকে সাথে নিয়ে দেখতে চাই। জীবনের শেষ সূর্যাস্ত পযন্ত। তুমি আমার হয়ে যাও।
গোলাপ জল আর কাঁচা হলুদে তোমার চরণ ধোঁয়াবো প্রতিদিন। অমাবর্ষার রাতেও পূর্ণিমাকে নিমন্ত্রণ জানাবো।
তোমার হাতে হাত রেখে  নীল আসমান দেখবো। তোমার ছোঁয়াতেই স্বপ্ন- সঙ্গীত নতুন করে লিখবো।
আমি খুব করে চাইছি- তুমি আমার হয়ে যাও।


দিনযাপনের কাহিনির ভিড়ে আরও কিছু  কথা বলার ছিলো। ঘন নীল আকাশে, সকালের সোনা রোদে, নাগরিক কোলাহলে, সহজ আড্ডায় মুঠোফোনে কিংবা দূরবার্তায় পাইনা তোমায়, দেখিনা দুরন্ত ভাটার টানে উড়ন্ত শরীর, দেখি না তোমার মুখ।


এই দেখো, আসল কথাটাই এখনো লিখিনি, দেখেছো কতটা আনাড়ী আমি?


ও হ‍্যা, আমি কিন্তু সাধু নই, তবুও চাই সাধনার গুনে কিংবা প্রেমের যাদু- টোনা- বানে তোমার চেতনায় প্রেমের সংযোগ দিতে। প্রেমকে ধুয়ে মুছে অবিশ্বাসের বলয়ে মমি করে রাখার হাজার কোটি প্রতারকের মাঝে একটা দৃষ্টান্ত হতে চাই। চাই কাজল কালো আঁখির বিনিময়ে আজন্ম স্বপ্ন স্বাধীনতা দিতে, নিঃস্বার্থে শ্রদ্ধা আর সোহাগের মিশেলে রানী সাজাতে।


পরিশেষে শুধু বলতে চাই-
তোমার রাতের পাখি, অতন্দ্র প্রহরী, স্বপ্ন সারথি এক আকাশ নীলের শুভ্রতা হাতে তোমার পথ পানে চেয়ে রই। তোমার আলিঙ্গনে আমরা একজন থেকে দুজন হবো, দুজন থেকেই তিনজন।
এভাবেই  সংখ্যাগরিষ্ঠ হবো আমরা আর আমাদের মায়া অমরত্ব পাবে। এবার বলো তুমি আসবে কবে তথাকথিত স্বার্থের পিছু ছেড়ে চিত্তের ভাগ নিতে?


উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।


ইতি- স্বপ্ন সারথি