মায়া- আত্মকেন্দ্রিক অভিশাষ মিশ্রিত ও শ্বাশত বর্ণিল।
এটাই আমার উপলব্ধি- যদিও তার বর্ণনা কিংবা সংজ্ঞা জটিল।


মায়া- আলোড়িত ঝর্ণা আমার নিবন্ধনহীন বিবর্ণ সিন্ধুতে।
সে এলোমেলো করে শোকদগ্ধ প্রাণে বাষ্প তুলে ধীর ঘূর্ণিতে।


হঠাৎ এ মায়া শরৎতের আকাশ- বিস্তীর্ণ কাঁশ ফুলে শোভিত।
কখনো শিরোনামহীন- চির অম্লান স্বপ্নে হয় সে লালিত।


অজ্ঞাত মায়া- চোখের অন্তরালে চঞ্চলা প্রজাপতি সাজে,
বেহুশ সারথি মন্ত্রমুগ্ধ তবু- বিচরন যেন তার স্বপ্ন মাঝে।


স্বর্গীয় পরশে উন্মাদ করে সে অদৃশ্য উপত্যকায় বসে।
সাবলীল রুপময়তায় যাদু তার- নান্দনিক সে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে মিশে।


মায়ার- কাব‍্যেচিত উপমা লিখিতে ব‍্যাস্ত নব‍্য সারথি।
বৃষ্টি লগ্নে সৃষ্টি হয়েছে- আজো তারে বয়ে বেড়ায় অতৃপ্ত নিয়তি।


কোন রোমাঞ্চিত গল্প নয়- সে আমার স্বপ্ন থেকে নেওয়া।
প্রতিশ্রুতির চাদরে মোড়ানো উষ্ণ আভার মায়া।