যদিনই বাঁচিয়াছি কিবা বাঁচিব অমেয় এই ভবে
বাঁচিনি তুমিহীনা এক অনুবেলাও থাক তবধারে,
তোমারি সঙ্গের করুন দরূনে বেঁচে থাকি প্রানে
গাহিয়া বেড়াই তোমারি নাম-শংসা অবিরত গানে।

একটা কীটও নাহি বাঁচে অখিল ভবে তুমি হীনা
তুমি মোর আত্মারাম,তুমিই মোর যমশয্যা সিনা
বলিতে চাহিলে তোমারি শংসা হবেনা কভু শেষ
জীবের আত্মা হইয়া তুমি বাঁচিয়া আছ বেশ।

কিন্তু,জেনে গেছি সত্যটা আমি বহুদিন ধরে
চলিয়া বেড়াও তুমি বহুজনের প্রানপাত করে,
তুমি নিষ্ঠুর,তুমি এবার অযশয়ী- বহুরূপী ঝড়
করে বেড়াও দুখীরে তছনছ তাদের করিয়া পর।

যাহারা থাকিতে পায়না,তাদের আরো ফতুর বানাও
গরীব আর দুঃখীর ঘরের চালা উড়াইয়া নাও,
তুমি নীতি অবনত,তুমি কোমল চিত্ত ভগ্নদারী
এমনই যদি কর,তারা কিভাবে দিবে জীবন পারি!

নিঃস্ব তুমি কর যারা দিন আনে নিজ হাতে-
পারনা ত তুমি ধনীর ঘরের একটা ইটও খষাতে
ধ্বংস যদি করিতেই চাও তবে শোনো তুফান-
ধ্বংস কর ধ্বংসকরী,বিভেদকারী ঐ পরগাছাদের
অন্যের পরিশ্রমে গড়েছে যারা মস্ত দরদালান
দুমরে মোছরে ফেলো তাদের বাহাদুরি চলন।